গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার নিশিন্দাহাটি এলাকার আবাদি কৃষি জমির মাটি কেটে শ্রেণী পরিবর্তন করে অনাবাদি জমিতে পরিনত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় একাধিক সুত্র জানায়, কালিয়াকৈর উপজেলার নিশিন্দাহাটি মৌজার অর্পিত সম্পত্তি ক গেজেটের ভিপি কেস নং ৩১৮/৭৬ ভুক্ত সম্পত্তি। স্থানীয় মমরেজ আলী ভুল তথ্য দিয়ে শর্তসাপেক্ষে নিজ নামে বার্ষিক লীজ নেন।দীর্ঘ দিন যাবৎ লীজকৃত ৮০শতাংশ জমিতে ফসল আবাদ করে ভোগদখল করে আসছিল। এবছর মমরেজ আলী সরকারি ওই জমি থেকে মাটি বিক্রি করায় কৃষিটির শ্রেণী পরিবর্তন হয়ে ডোবায় পরিনত হয়েছে। এতেকরে সরকারি আবাদি কৃষি জমি অনাবাদি ডোবা জমিতে পরিনত হওয়ায় সরকারের রাজস্ব লোকসান হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে লীজ গ্রহীতা মমরেজ আলীর পুত্র আব্দুর রহমান জানান,আমাদের জমির মাটি আমরা বিক্রি করেছি,তাতে কি অন্যায় হয়েছে।এ বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলে স্থানীয় শাহাবাজপুর ভুমি অফিস সুত্র জানায়, উপজেলার নিশিন্দাহাটি মৌজার ভিপি কেস নং ৩১৮/৭৬ ভুক্ত সম্পত্তি যাহার তফসিল এস এ দাগ নং ৭৬৫ আর এস ৮৪৬ জমির পরিমাণ ২৪ শতাংশ ,আর এস ৮৬২ দাগে ৩০ শতাংশ ,৩৭৩ দাগে ২৬ মোট ৮০শতাংশ আবাদি কৃষি জমি মমরেজ আলীর নামে শর্ত সাপেক্ষে লীজ দেয়া হয়।কেউ যদি সরকারি জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে, তাহলে তার লীজ বাতিল সহ তার বিরোদ্ধে শাস্তি মুলক ব্যাবস্থা নেয়া হবে।এ বিষয়ে আলাপকালে ওই এলাকার বাসিন্দা শামসুল আলম জানান,মমরেজ আলী মিথ্যা তথ্য দিয়ে জমিটি তার নামে লীজ করিয়ে নেন।প্রকৃতপক্ষে জমিটি লীজ দেয়া হয়েছিল মফিজ উদ্দিনের নামে।মফিজ উদ্দিন নি:সন্তান অবস্থায় মৃত্যুকালে তার স্ত্রী ছিবারন নেছা ও সহোদর ভাই আনোয়ার উদ্দিনকে ওয়ারিশ রেখে যান।কিন্তু মমরেজ আলী পিতা হোসেন আলী মফিজ উদ্দিন কে পালক পিতা দাবী করে জমিটি তার নিজের নামে লীজ করিয়ে নেন।আবার সেই জমি থেকে মাটি বিক্রি করে খাচ্ছে এটা সরকারি নীতি পরিপন্থী।