গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি এমপিওভুক্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব দখল করে কোচিং বানিজ্য করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকা উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের বাঙ্গুরী আব্দুল হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষিকা হিমেল রানী।
এদিকে ওই একই বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকারাও বিদ্যালয়ের কক্ষে ও আশপাশের বিভিন্ন স্থানে কৌশলে কোচিং বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতর কোচিং বানিজ্য সম্পূর্ণ নিষেধ থাকলেও উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের বাঙ্গুরী আব্দুল হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষিকা হিমেল রানি প্রতিষ্ঠানের ভেতরেই শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব দখল করে শিক্ষার্থীদের দলবদ্ধ ভাবে কোচিং করাচ্ছেন। কোচিং ফি বাবদ তিনি প্রতি শিক্ষার্থীর কাছে থেকে নিচ্ছেন ৫০০ টাকা। একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা স্মৃতি রানী পাল প্রতিষ্ঠানের একটি শ্রেণি কক্ষে একাধিক বিষয়ে প্রতি মাসে শিক্ষার্থীদের মাথাপিছু ৫০০ টাকা আদায় করছেন কোচিং বানিজ্য করে। ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক রুস্তম আলী ও অমল বাবু নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বাহিরে নিয়ে কোচিং বানিজ্য করছেন।
এভাবে কোচিং বানিজ্যের ফলে একদিকে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের ধারাবাহিক ক্লাসের প্রতি অনিহার সৃষ্টি হচ্ছে। অপরদিকে শিক্ষকদের চাপে কোচিং এ ভর্তি হয়ে প্রতি মাসে অতিরিক্ত টাকা বেতন দিতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছে জানতে চাইলে তারা কোন কথা বলেননি। তবে কথার এক ফাকে হিমেল রানী বলেন শিক্ষামন্ত্রী কোচিং করানোর অনুমতি দিয়েছেন।
বাঙ্গুরী আব্দুল হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আরসেদ আলী জানান, শুনেছি ক্লাস শুরুর আগে কোচিং হয়। বিষয়টি আমি দেখব।
কালিয়াকৈরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন মোল্লা জানান, কোচিং বানিজ্যের বিষয়টি দেখবে প্রধাণ শিক্ষক। তার অনুমতি ছাড়া তো এটা হবে না। তবে শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব দখল করে কোচিং বানিজ্যে করার বিষয়ে আমার জানা নেই। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।