সিনিয়র রিপোর্টার: প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও জিপ গাড়ির বিপুল পরিমাণ চোরাই যন্ত্রাংশসহ চোর চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ এনামুল মোল্লা, মোঃ এনামুল হক ওরফে এনাম, মোঃ বকুল চৌধুরী, শরিফ আহম্মেদ ওরফে কালু, বিল্লাল হোসেন, মোঃ ইকবাল হোসেন ওরফে পলাশ ও মোঃ ইকবাল খান। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে বিভিন্ন মডেলের গাড়ির সাইড লুকিং মিরর ১২৪ পিস, সাইড মিররের কভার ১৯ পিস, লুকিং গ্লাসের কর্নার বিট ১০৭ পিস, হেরিয়ার জীপ গাড়ির গ্রিল লোগো ২ পিস, কমপ্লিট মিরর ১২ পিস, এক্সিও প্রাইভেটকারের দরজার বিট ৩০ পিস, কমপ্লিট সাইড মিরর ১৮ পিস, বাম্পার ক্যাপ ৬ জোড়া, পিছনের ডালার বিট ২৬ পিস চোরাই যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (২৭ এপ্রিল ২০২২) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ডিবি-দক্ষিণ) মোঃ মাহবুব আলম, বিপিএম-সেবা, পিপিএম(বার)। গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, রমজান মাস জুড়ে অজ্ঞানপার্টি, মলমপার্টি, গাড়িচুরি প্রতিরোধে ঢাকা মহানগরে অভিযান পরিচালনা করছে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল ২০২২) দুপুরে শান্তিনগর বাজারের মোহাম্মদীয়া মার্কেটের মুন ফার্মেসি অ্যান্ড লাইব্রেরির সামনে থেকে গাড়ির চোরাই যন্ত্রাংশসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে ডিবি লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম। পরবর্তী সময়ে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গাড়ির চোরাই যন্ত্রাংশসহ আরো চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের অপরাধের কৌশল সম্পর্কে ডিবি পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মূলত: চারজন চুরি করে থাকে। এরা প্রথমে নিরিবিলি বা জনসাধারণের কম সমাগম স্থানে অবস্থান করে। এরপর গাড়িতে ড্রাইভার বা অন্য কেউ না থাকলে গাড়ির বাইরের পার্টস যেমন সাইড মিরর, বাম্পার ক্যাপ, দরজার বিট ইত্যাদি খুলে কৌশলে সরে পড়ে। পরবর্তী সময়ে এরা এসব চোরাইকৃত যন্ত্রাংশ পল্টনের স্কাউট মার্কেট, মহাখালীর জেবা টাওয়ার, ধোলাইখাল ও বারিধারার কিছু দোকানে বিক্রয় করে থাকে। তিনি আরো বলেন, অনেক ক্ষেত্রে তারা যে মালিকের পার্টস চুরি করে, দোকানদার সেই পার্টস পুনরায় উচ্চ দামে ঐ মালিকের কাছেই বিক্রি করে। কারণ অনেক গাড়ির নতুন পার্টস মার্কেটে আলাদাভাবে আমদানী করা হয়না বা কিনতেও পাওয়া যায় না। চোরাই পার্টস চুরির পর মুহূর্তেই চোরের ওস্তাদের মাধ্যমে তা পার্টসের দোকানে স্বল্প মূল্যে বিক্রি করে দেয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ডিএমপির পল্টন মডেল থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে এবং এধরণের অপরাধে বিরুদ্ধে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে, যোগ করেন ডিবি কর্মকর্তা। গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ রাজীব আল মাসুদ, বিপিএম-সেবা এর নিদের্শনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হাসান আরাফাত, বিপিএম, পিপিএম এর তত্ত্বাবধানে সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার মধুসূদন দাস এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।