শুরুটা আজ থেকে ১ যুগ আগে। তখন থেকেই তার ধ্যান-জ্ঞান হচ্ছে গান। ছোট থেকেই গানের প্রতি প্রবল আগ্রহ দেখে তার বাবাও উৎসাহ দিতেন গান গাওয়ার জন্য। ফলও মিলেছে। গান গেয়ে ধীরে ধীরে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিচ্ছে সে। ২০০৯ সালে নিজের একক চেষ্টায় টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন বড়শিলা গ্রাম থেকে অচেনা শহর গাজীপুরে আসেন বালক রানা। শিল্পী হওয়ার চেষ্টায় সামিল হয়েছিল বন্ধু শ্রাবন ও আরিফ। তাদের আগ্রহ তাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা তৈরি করে। কথা হয় গাজীপুরের একজন মিউজিক ডিরেক্টের সাথে তার কথা শুনে স্বপ্ন বাসা বানাতে শুরু কিছুদিন পর মাঝ পথ থেকে উদাও সেই মিউজিক ডিরেক্টের। এর কয়েকদিন পর পিছু হটেন বন্ধু শ্রাবন কি করবে ভেবে না পেয়ে ঢাকার বিভিন্ন মিউজিক টুডিও তে কথা বলে। এরই মধ্যই কথা হয় ঢাকার ডট কম টুডিওর মালিক আজমের ভাইয়ের এর সাথে তখন তিনি ১০টি গান দিয়ে রানাবাপ্পীর একটি এ্যালবাম বের করে। মিউজিক ভিডিও তৈরি করার জন্য গ্রামের বাড়ি থেকে বাবা ও বড় ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা আনেন তিনি। দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর ২০১০ সালে প্রথম একক এ্যালবাম বের হয়। তখন দেশের মানুষের কাছে নিজেকে পরিচিত করার লক্ষে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ও নিজ গ্রামে নিজে গানের এ্যালবামের সিডি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেন রানা বাপ্পী । এমন পরিস্থিতে কথা হয় কোনাবাড়ির গীতিকার রঘুনাথ সরকার রবি দাদার সাথে তিনি তখন গ্রামীন কিচ্ছা গায়বার প্রস্তাব দেন সেই প্রস্তাবে রাজি হন তরুন শিল্পী রানা বাপ্পী। আবার সেই দীর্ঘ এক বছর অপেক্ষার পর বাজারে আসে পবন আলীর কিচ্ছা নামে রানা বাপ্পীর প্রথম গ্রামীন কিচ্ছা যা সারা দেশে বেপক সাড়া ফেলে তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি শিল্পী রানা বাপ্পীর একে একে, এক রশিতে দুই জনের ফাসি, রানা প্লাজা ট্রাজেডিসহ অসংখ্য সিডি ও এ্যালবাম বাজারে আসে। বর্তমানে সময়ে সিভির প্রচলন না থাকলেও এরপর থেকে প্রায় এক হাজার গ্রামীন কিচ্ছায় কন্ঠ দিয়েছেন কন্ঠশিল্পী রানা বাপ্পী।
বর্তমান সময়ে গ্রামীন কিচ্ছার ধারক এবং বাহক রানা বাপ্পী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা তার। দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা নিয়ে কিচ্ছা তৈরি করে বলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের গ্রামের মানুষ ভক্তের সংখাটায় অনেক বেশি।
গান নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে কন্ঠশিল্পী রানা বাপ্পী বলেন, গান নিয়ে আমার স্বপ্ন অনেক বড়। তবে সবার আগে একজন ভালো মানুষ হতে চাই। আমি বড় শিল্পী হতে পারবো কি না জানি না, কিন্তু আমি ভালো একজন শিল্পী হয়ে মানুষের হৃদয়ে থাকতে চাই। এমন কিছু গান করতে চাই, যে গানগুলো মানুষের হৃদয় ছুঁতে পারবে। সকলের কাছে দোয়া চাই আমি যেন গান গেয়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে পারি।