গাজীপুরের কালিয়াকৈরে জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ভর্তুকি দিয়ে স্বল্প মূল্যে গরীব, অসহায় মানুষের মাঝে নিত্যপন্য বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলার লতিফপুর এলাকায় শনিবার সকালে এসব পন্য বিতরণ করা হয়। স্বল্প মূলে পন্য পেয়ে খুশি দুস্থ, গরীব ও হতদরিদ্র ক্রেতারা।
জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন ও ভুক্তভোগী ক্রেতা সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে নিত্যপণ্যের বাজার মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ ক্রেতারা। রোজার আগে আরেক দফায় নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় সবচেয়ে বেশি দিশেহারা হয়ে পড়েছে দুস্থ, গরীব ও হতদরিদ্র পরিবার। এসব পরিবারের কথা বিবেচনা করে রিকশা চালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, হোটেল ব্যবসায়ীসহ সেচ্ছাসেবী মিলে ‘জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন’ গঠন করে। পরে তারা নিজেদের উপার্জিত টাকা থেকে ভর্তুকি দিয়ে পন্য কিনে স্বল্প মূল্যে অসহায়দের মাঝে বিতরণ করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে ওই সংগঠনের উদ্যোগে তৈল, মসুর ডাল, ছোলা বুট ও চিনিসহ প্রতি প্যাকেটে ৪ কেজি করে বিতরণ করা হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪২৫ টাকা। কিন্তু ওই সংগঠণ ভর্তুকি দিয়ে প্রতি প্যাকেটে ৩০০ টাকা করে স্বপ্ল মূল্যে এসব পন্য ১৪০টি অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। স্বল্প মূল্যে পন্য কিনতে পেরে খুশি দুস্থ, অসহায়, গরীব ও হতদরিদ্র মানুষ। স্বল্প মূল্যে পণ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- কালিয়াকৈর থানার তদন্ত (ওসি) আবুল বাশার, অপারেশন (ওসি) মনিরুজ্জামান খান, জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের সদস্য মালয়েশিয়া হোটেল ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক, মোকারম হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, রাইসুল ইসলাম, হাফিজ উদ্দিন, সাদেকুল ইসলাম, এরশাদ হোসেন, মনোয়ার হোসেন, খোকন মিয়া, আলামিন মিয়া, মঞ্জু ইসলাম, মোশারফ হোসেন, রাকিব মিয়া, এমদাদুল হকসহ অনেকে।
এসময় ওই সংগঠনের উদ্যোক্তারা জানান, প্রতি জনের একটি প্যাকেজে ১২৫ টাকা করে ভর্তুকি দিয়ে ১৪০ জনের মাঝে পন্য বিতরণ করা হয়েছে। গত দুই মাস আগে প্রায় ৬০ জন সদস্য নিয়ে আমরা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন নামে সংগঠন করি। জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের সদস্য হোটেল ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক বলেন, আমাদের লক্ষ ও উদ্দেশ্য দারিদ্র বিমোচন, সেচ্ছায় রক্তদান, বাল্য বিবাহ রোধ, মাদক মুক্ত সমাজ গঠনসহ প্রায় ৩০টি কর্মসূচী নিয়ে কাজ করা। তবে তাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান উদ্যোক্তরা।
বিতরণ অনুষ্ঠানে কালিয়াকৈর থানার অপারেশন ওসি মনিরুজ্জামান খান বলেন, ওই সংগঠনের উদ্যোগ অবশ্যই প্রসংশার দাবীদার। তবে কোনো বাজারে পন্যের দাম বেশি নিলে ৯৯৯-এ ফোন দিলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।