গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সরকারী খাল ভরাট করে একটি কারখানা নিমার্ণের চেষ্টায় মেতেছে প্রভাবশালী মহল। এতে খালের পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। দেখা দিচ্ছে অল্প বৃষ্টিতে জলাশয়ের। এসব কারনে চরম ভাবে দুভোর্গে পড়ছে বলে দাবী ভোক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর। অপর দিকে খালটি এভাবে দিনের পর দিন ভরাটের কারণে বৃষ্টির মৌসুম এলেই জলাবদ্ধতা হয়ে চরম বিপাকে পড়বে ৮-১০টি গ্রামের মানুষ।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার কামরাঙ্গাচালা এলাকার সাদমা ফ্যাশন লিমিটেডের নিমার্ণাধীন নিউ ডাইং কারখানার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। ওই এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে হাতিরদাড় নামে একটি সরকারী খাল। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কয়েকটি গ্রামসহ উপজেলার ৮-১০টি গ্রামের বৃষ্টির পানি ও বিভিন্ন কারখানার বর্জ্য পানি এ খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সরাসরি তুরাগ নদীতে পড়ে। কিন্তু ওই কারখানা কতৃপক্ষ খাল ভরাট করে নতুন আরেকটি ডাইং কারখানা নিমার্ণ করছেন। এতে খালের পানি প্রবাহ বন্ধের কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে দুভোর্গে পড়েছেন এলাকাবাসী। তবে খালটি ভরাটের কারণে বষার্র মৌসুমে বৃষ্টি ও বিভিন্ন কারখানার বর্জ পানিতে মিশে প্লাবিত হয়ে পড়বে ৮-১০টি গ্রাম। চরম দুভোর্গে পড়বে এসব গ্রামের লাখ লাখ মানুষ। এছাড়াও ওই কারখানার বিরুদ্ধে আশ-পাশের কয়েকজন নিরীহ লোকের জমি দখল ও তাদের মামলা দিয়েও হয়রানি করার অভিযোগও রয়েছে। এযেন উন্নয়নে সৃষ্টি অবনতি।
এবিষয়ে এলাকাবাসী সাফিজ উদ্দিন মন্ডল জানান, অনেক দিনের পুরোনো এই সরকারি খাল দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ পানি চলাচল করছে কিন্তু সাদমা কারখানার লোকজন এই খালকে মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলেছে। বৃষ্টি হলেই আশে-পাশের ঘরবাড়ি জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে চরম দুভোর্গ পোহাতে হবে স্থানীয় এলাকাবাসীকে। ছড়াবে বিভিন্ন রোগ বালাইও।
ওই কারখানার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হামিদ সরকার জানান, সাময়িকের জন্য ওই খালের মধ্যে পাইপ দিয়ে মাটি ভরাট করেছি। পরবর্তীতে ভরাটকৃত মাটি সরিয়ে ফেলা হবে। এছাড়া কারো জমি দখল বা মামলা দিয়ে কাউকে হয়রানি করা হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছ। ঘটনাস্থলে আমরা যাবো। যদি নদী দখল বা ভরাট করে থাকে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।