ছাত্র জনতার বিপ্লবে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকারের আইন বিচার ও খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সে সময় নানা মন্তব্যের কারণে আলোচিত ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। এখন কারাগারে কাটছে তার সময়। মাঝে মাঝে হাজিরা দিতে আসেন আদালতে।
সোমবারও (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছিল সাবেক এ মন্ত্রীকে। সেখানেই কামরুল ইসলাম তার আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জামিনের দরখাস্ত দিয়ে লাভ নেই।
কামরুল ইসলাম ছাড়াও আদালতে হাজির করা হয়েছিল বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুজ্জামান কিরণকে। তাদের নতুন মামলায় গ্রেফতার দেখানোর শুনানি ছিল।
এদিন সকালে আসামিদের আদালতের হাজির করে রাজধানীর পৃথক থানার করা পাঁচ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালত তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানার পৃথক দুই হত্যাচেষ্টার মামলায় কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে শুনানিকালে কামরুল ইসলামের আইনজীবী জামিন বিষয়ে শুনানি করতে চান। তখন আদালত বলেন, জামিন শুনানি আমলি আদালতে করবেন। এ সময় কামরুল ইসলাম তার আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জামিনের দরখাস্ত দিয়ে লাভ নেই।
এরপর আবার তার পক্ষের আইনজীবী আদালতকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমাদের আরেকটা দরখাস্ত আছে। কামরুল ইসলাম তার ছেলের সঙ্গে দেখা করতে চান। আপনি যদি একটু অনুমতি দেন। তখন আদালতকে উদ্দেশ্য করে কামরুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলে ডাক্তার। তার সঙ্গে দেখা করা প্রয়োজন।
শুনানি শেষে আদালত এই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন এবং ছেলের সঙ্গে দেখা করার বিষয়ে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান।