নিজস্ব প্রতিবেদক: মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাহারি ফুল ও বর্ণিল আলোকসজ্জায় সেজেছে সাভার স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। বীর শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। রাত পেরোলেই সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সৌধ প্রাঙ্গণে ঢল নামবে মানুষের।
শুক্রবার সকালে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, নিরাপত্তার জন্য সৌধের ভেতরে ও বাইরে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
কয়েশ নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েনসহ বাড়ানো হয়েছে সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারি। চলছে তিন বাহিনীর সুসজ্জিত দলের মহড়া। শেষ হয়েছে আলোকসজ্জাসহ রংতুলির কাজ।
শ্রমিক শাহিন হোসেন বলেন, ‘শুধু চাকরির জন্য নয়, বীর শহীদদের স্মরণে কাজ করার আনন্দটা যেন ভিন্নমাত্রা নিয়ে আসে। ’
গণপূর্ত বিভাগের (সাভার-২) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আল আহসান আতিক বলেন, গণপূর্ত বিভাগ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মন্ত্রী, সচিব, কূটনীতিকসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্মৃতিসৌধ জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
ইউএনও মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারের সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের সমন্বয়ে সাভার উপজেলা প্রশাসন নিরাপত্তা ও সড়কের শৃঙ্খলাসহ সার্বিক বিষয়ে সম্পৃক্ত থেকে কাজ করছে। রাষ্ট্রের সব গোয়েন্দা সংস্থা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনী সম্মিলিতভাবে সার্বিক বিষয় দেখভাল করছে। প্রস্তুতি শতভাগ ভালো রয়েছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে স্মৃতিসৌধ প্রস্তুত রয়েছে। গণপূর্ত বিভাগ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে। তারাও সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। স্বাধীনতার সুর্বণ জয়ন্তীর বিষয়টি সামনে রেখে সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া সকাল থেকে দর্শনার্থীদের জন্য শিল্পকলা একাডেমির পরিচালনায় গান পরিবেশন করবেন জাতীয় ও দেশবরেণ্য শিল্পীরা। ’
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, স্বাধীনতা দিবস ঘিরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।