শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৭ অপরাহ্ন [gtranslate]
Headline
Wellcome to our website...dd
৬-৫৯ মাস বয়সী ২ কোটি ৩০ লক্ষ শিশুকে আজ থেকে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে
/ ৫৭ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৪:৩৩ অপরাহ্ন

সিনিয়র রিপোর্টার:

আজ ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে আগামী ৪ দিন প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত দেশের সকল ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রসমূহে ৬ মাস বয়সী থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ভিটামিন-এ প্লাস (নীল ও লাল রঙের ক্যাপসুল) খাওয়ানো হবে। এবারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ কোটি ৩০ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫ শত শিশুর ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো নিশ্চিত করা। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ২৭ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫০০ শিশুকে নীল রঙের এবং ১১-৫৯ মাস বয়সী ২ কোটি ৩০ লক্ষ ২ হাজার শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ক্যাম্পেইন চলবে আজ ১২ ডিসেম্বর থেকে আগামী ৪ দিন ১৫ ডিসেম্বর বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়ে প্রতিদিন ক্যাম্পেইন চলবে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত।

সকালে শিশুদের জন্য ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে রাজধানীর মহাখালীস্ত নিপসম সেন্টারে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে হিসেবে উপস্থিত থেকে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইনের শুভ উদবোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি। শিশুদেরকে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরে সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “টিকাদানে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল। টিকাদানে আমাদের সফলতা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। করোনার সময়েও বাংলাদেশ এক দিনে এক কোটি বিশ লক্ষ মানুষকে টিকা দিয়ে বিশ্বে আলোচিত হয়েছে। ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে৷ এবার ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য আমরা ২ কোটি ৪০ লক্ষ শিশুকে টার্গেট করেছি। এজন্য আমাদের প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টিকাদান কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই টিকাদান প্রক্রিয়ায় এবার ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও ২ লক্ষ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রয়েছে।”

এই টিকা খাওয়াতে কেউ যেন গুজবে কান না দেয় সেজন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল একেবারেই নিরাপদ এবং অত্যন্ত উপকারী। ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল শিশুদের অন্ধত্ব দূর করার পাশাপাশি বামনত্ব প্রতিরোধ করে। এই টিকা দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। সকল ধরনের মৃত্যুহার ২৪% হ্রাস করে এবং হাম, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াজনিত কারনে মৃত্যু রোধ করে। সুতরাং এই টিকা জাতীর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য দেশের সকল ৬-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে খাওয়াতে হবে। টিকা খাওয়াতে শিশুদেরকে ভরাপেটে নিয়ে আসতে হবে। ৬ মাসের কম বয়সী ও ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশুকে এই টিকা খাওয়ানো যাবে না।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম এর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু এনডিসি, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর সহ অন্যান্য বক্তাগণ।

 

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page