বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড.মুনাজ আহমেদ নূর বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীতে বাংলাদেশকে শতভাগ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করা হয়েছে। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাওয়ার এই প্রেরণা যুগিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
কারণ উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের বীজ বঙ্গবন্ধুর সময়েই তিনি বপন করে দিয়ে গেছেন। তিনি আজ (২৬ মার্চ) শনিবার সকালে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের মহান শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে অধ্যাপক ড.মুনাজ আহমেদ নূর এসব কথা বলেন।
ড.মুনাজ আহমেদ নূর বলেন আরো বলেন, জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছর সময়ে এদেশের প্রতিটি মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে বিদ্যুৎ, কৃষি, সমবায়, শিল্প, বিজ্ঞান, গৃহ নির্মাণ, অর্থনীতি, বাণিজ্য ব্যবস্থাপনা, শিল্প ব্যবস্থাপনা জাতীয়করণ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ভূমি ব্যবস্থাপনাসহ নানান কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছিলেন। আজও বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কোন কাজ করতে গেলে আমরা দেখতে পাই। যে কোন প্রতিষ্ঠান জাতির পিতা নির্মাণ করে দিয়ে গেছেন না হয় ঐ প্রতিষ্ঠানটি যে প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায়জাত করা হয়েছে তার শুরুটা জাতির পিতা করে দিয়ে গেছেন। অধ্যাপক ড.মুনাজ আহমেদ নূর এসম আরো বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫মার্চের মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বাঙালি এই দিন থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ স্বাধীন করার শপথ গ্রহণ করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে প্রতিটি বাঙালির মনে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের বীজ রোপিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আশরাফ উদ্দিন, সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট মুহাম্মদ শাহীনূল কবীর, শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আশরাফুজ্জামান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ফারজানা আক্তার,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সামছুদ্দীন আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের মহান শহিদদের স্মরণে আলোচনা সভা এবং রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাতে করা হয়।