কৃষি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায় হুমকীর মুখে আবাদি জমি ও ঘরবাড়ি। কৃষিজমির উপরের অংশ উর্বর মাটি ও টপসয়েল কেটে নিয়ে যাচ্ছে ইটভাটার মালিকরা ও অসাধু ঠিকাদাররা। উর্বর মাটি ইটভাটায় চলে যাওয়া -ফসলি জমির সর্বনাশ বিধায় বাংলাদেশে ফসল উৎপাদন কমছে। বিশেষ করে ধামরাই উপজেলায় বিখ্যাত চাউল বিআর -২৯ যা বাংলাদেশের অর্থকরি ফসল। যাহা দেশের সর্বত্র বিক্রয় হয়। কিন্তু দেখা যায়, উক্ত বিআর -২৯ ধান উৎপাদন কম হওয়ায় চাউলের দাম ক্রমশই বাড়ছে। শুধু তাই নয় ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের সম্মুখিন হচ্ছে পরিবেশ। পাশাপাশি মাটি পরিবহনকারী ট্রলি ও ট্রাকগুলো ওভার মাটি ভর্তি করে মহাসড়ক ও ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামীন কাঁচাপাকা রাস্তাগুলোতে চলাচল করায় মাটি পড়ে রাস্তার বিটুমিন নষ্ট ও রাস্তা ভেঙ্গে গিয়ে জনপদের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এতে বর্ষা আসলেই পাকা রাস্তার প্লাস্টার উঠে গিয়ে খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।ভাড়ী যানবাহন গ্রামীন রাস্তাগুলোত চলাচল করায় কেউ বাঁধা না দেয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে রাস্তাগুলো। সরকারী আইন অনুযায়ী কৃষি জমির মাটি ভাটায় ব্যবহার নিষিদ্ধ। এই আইন লঙ্ঘনের জন্য সর্বোচ্চ দুইবছরের কারাদনড বা দুই লক্ষ টাকা জরিমানা বা উভয়দন্ডের বিধান রয়েছে। জানা যায়, ফসলিজমির মাটি চার/পাঁচ ফুট ইটভাটায় চলে যাচ্ছে। ভেকু(এক্সেভেটর) দিয়ে কাটা হচ্ছে মাটি। ইটভাটার দালালরা মূলত কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে ফুসলিয়ে বা ভূলভাল বুঝিয়ে জমির মাটি সল্পমূল্যে ক্ষরিত করে, তা ইটভাটায় বিক্রি করছে, ভাটা মালিকদের কাছে।এতে লাভবান হচ্ছে ইটভাটার মালিক সহ একটি দালালচক্র।তবে লোভে পড়ে কৃষকদেরও ক্ষতি সহ নষ্ট হচ্ছে ভূমির পরিবেশ ফসল ও চলাচলের রাস্তাঘাট। এক সমিক্ষায় দেখা যায়,ধামরাই উপজেলায় ২২৯টি ইটভাটা রয়েছে, তারমধ্যে ৪০/৪৫টি ব্যাতিত বাকি গুলো অবৈধভাবে পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই স্হাপন করা হয়েছে। এক সাক্ষাৎকারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, উর্বর মাটি তৈরি হতে অনেক বছর সময় লাগে,একটি উদ্ভিদের ১৬ প্রকার খাদ্যের মধ্যে মাটিতে ১৩ প্রকার খাদ্য উপাদান রয়েছে। ফসলি জমির উপরিভাগের ৪/৫ ইঞ্চি বেশী উর্বর। তবে এভাবে উর্বর মাটি ভাটায় চলে গেলে ভবিষ্যতে ৩০/৫০ শতাংশ হারে ফসল উৎপাদন হ্রাস পাবে। প্রসাশনের পক্ষ থেকে প্রায় বছর অভিযান চালিয়ে ইটভাটায় মোটা অংকের জরিমানা আদায় করার পরেও তা নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। এবিষয়ে প্রকাশনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে দেশের জনসাধারণ।