কাজী নাফিস ফুয়াদ ,মাদারিপুর :
দলীয় রাজনীতির গণ্ডি ছাড়িয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন সবার আপনজন গত বুধবার (২৫ অক্টোবর) ভোর রাত ২.৩০ ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান । মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, সমাজ সেবক ও রাজনীতিবিদ সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের মৃত্যুতে মাদারিপুর -৩ আসন, ডাসার ও কালকিনি জুড়ে নেমেছে শোকের ছায়া। অবহেলিত মানুষের কাছে তিনি ছিলেন আশ্রয়স্থল । মাদারীপুরের ডাসারে জন্ম নিয়ে একজন জননেতা হিসেবেও তার সুখ্যাতি ছড়িয়ে আছে গোটা উপমহাদেশে। তাই তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে। আত্মীয়স্বজন ও দলের নেতাকর্মীরা বাকহারা, স্তব্ধ হয়ে পড়েছেন।তাদের চোখে-মুখে শোকের ছায়া। প্রিয় মানুষটিকে, প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো একনজর দেখতে চান তারা।
তার মৃত্যুসংবাদ জানার পর এলাকার মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণের পাশাপাশি কালো পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি পালন করেন। ডাসার বাজার ও থানা মার্কেট এক’দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তার প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক -শিক্ষার্থীরা এ সংবাদে কান্নায় ভেঙে পড়ে।
দলীয় নেতাকর্মীরা বলেন মৃত্যুর ক্ষতি ভাষায় প্রকাশ করার নয়।সৈয়দ আবুল হোসেন ‘জনমানুষের নেতা’ তিনি , ‘তৃণমূল থেকে শুরু করে তিনি রাজনীতির সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছেছেন নিজ যোগ্যতায়।দেশের সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম এই নেতার মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো। এমন রাজনীতিবিদকে হারিয়ে আমরা শোকার্ত। তার মানবিক ও রাজনৈতিক গুণাবলি আমরা কখনও ভুলব না।ডাসার উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বলেন, ‘আমরা এই মৃত্যু শোক বা এই পাহাড়সম রাজনীতিকের শূন্যতা কীভাবে পূরণ করব, বুঝতে পারছি না।
সৈয়দ আবুল হোসেন ১ আগস্ট ১৯৫১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর তিনি ধারাবাহিকভাবে সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরমধ্যে ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত বাংলাদেশের যোগাযোগমন্ত্রী এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
সৈয়দ আবুল হোসেন এক স্ত্রী খাজা নার্গিস, দুই মেয়ে সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন এবং সৈয়দা ইফফাত হোসেন রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।