
মোহাম্মদ আদনান মামুন (শ্রীপুর):-গাজীপুরের শ্রীপুরে আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত শ্রীপুর উপজেলা। তন্মধ্যে শিল্পোন্নত শ্রীপুর পৌরসভা কাগজে কলমে প্রথম শ্রেণী হলেও বাস্তবচিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। তবে পৌরসভার কর-বিভাগের চাকুরীজীবিদের জীবনমান শ্রীপুর পৌরসভার মতই প্রথম শ্রেণীর।
জানা যায়, শ্রীপুর পৌরসভার কর-নির্ধারক মোঃ আরফান হোসেন, তার সহকারী মোহাম্মদ ফারুক হোসেন ও কর-আদায়কারী মোবারক হোসেনের সিন্ডিকেট পৌরসভার স্বার্থ বিরোধী কাজ করে, নিজেদের অবৈধ স্বার্থ হাসিল করে আসছেন দীর্ঘদিন। উক্ত সিন্ডিকেট ২০১৩ সালের পৌর কর আরোপ ও আদায় বিধিমালা সম্পুর্ণ লঙ্ঘন করে আরোপিত করের ৮০/৯০ শতাংশ কর মওকুফ করে এবং নির্দিষ্ট কমিশনের বিনিময়ে প্রকৃত কর-এর থেকে একটি অংশ পৌর তহবিলে জমা করে বাকী কর-এর টাকা নিজেরা ভাগাভাগি করে লাভবান হচ্ছেন। ফলে কর-বিভাগ সংশ্লিষ্টরা লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পৌরসভা এবং উন্নয়ন বঞ্চিত হচ্ছে পৌরবাসি।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, কর-নির্ধারক মোঃ আরফান হোসেন ১৯৯৯ সালে যোগদান করে বর্তমানে ২৬ হাজার টাকা বেতনে গড়েছেন অঢেল সম্পদ। অন্যদিকে ২০০৩ সালে কর আদায়কারী মোবারক হোসেন উত্তরার ৬নং সেক্টরের ১নং রোডের ৩৫নং বাড়িতে বিলাসবহুল জীবনযাপন করলেও বেতন পান ২৬১২০ টাকা! এদেরই সুযোগ্য সহকর্মী সহকারী কর আদায়কারী মোহাম্মদ ফারুক হোসেন ২০১৩ সালে যোগদান করে মাত্র ১০ বছরে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় করেছেন ডুপ্লেক্স বাড়ি।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রীপুর পৌরসভা এক কর্মকর্তা বলেন, মূলত শ্রীপুর পৌরসভার দুর্নীতির আতুড়ঘর কর বিভাগ! এরা একই পদে একই স্থানে দীর্ঘদিন চাকুরীর সুবাদে নিজস্ব সিন্ডিকেট করে দুর্নীতি করে গড়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। এমনকি রহস্যময় কারণে বাৎসরিক এডিট রির্পোটেও উল্লেখ্য করা হয়না শ্রীপুর পৌরসভার কর তছরুপের রির্পোট!
এবিষয়ে শ্রীপুর পৌরসভার প্রশাসক ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ বলেন, শুনেছি তারা ৮০/৯০% কর মওকুফ করেছে। এসব অনিয়ম পৌরসভার মেয়র তার নিজস্ব এখতিয়ারে করছে। এখন যদি সুনির্দিষ্ট তথ্য পাই, তবে দুর্নীতি দমন কমিশন কে জানাবো।