
মোহাম্মদ আদনান মামুন (শ্রীপুর), গাজীপুরের শ্রীপুরে বরমী ইউনিয়নের দরগার চালা এলাকায় এক শিশু (১১) কে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণের অভিযোগে আরমান (২৭) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
অপরদিকে মাওনা এলাকায় এক মাদরসার শিশু শিক্ষার্থী ( ৮) কে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক আ: মালেক কে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
শনিবার (৭ মার্চ) রাত ১০টার দিকে উপজেলার দরগারচালা এলাকা থেকে অভিযুক্ত আরমানকে আটক করা হয় ও মাওনা উত্তরপাড়া খান বাড়ি এলাকা থেকে অভিযুক্ত ঐ শিক্ষককে আটক করা হয়।
অভিযুক্ত আরমান ময়মনসিংহের পাগলা থানার নিগুয়ারী গ্রামের শামছুলের ছেলে ও শিক্ষক আব্দুল মালেক নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা থানার শিবপুর গ্রামের মাহতাব উদ্দিনের ছেলে।সে মাওনা উত্তরপাড়া বাগে জান্নাত নুরানী হাফিজি মাদরাসার শিক্ষক।
জানাযায়, গত শনিবার (১ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে আরমান ও-ই শিশুকে কৌশলে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং সেই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরে এই ধর্ষণের ভিডিও চলে আসে ওই শিশুর পরিবারের কাছে। পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে আরমানকে আটক করে পুলিশে দেয়। অপরদিকে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে ওই শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় পড়তে গেলে মাদ্রাসায় কোন শিক্ষার্থী না থাকায় তার স্পর্শকাতরস্থানে হাত দেয় ঐ শিক্ষক। পরে ওই শিক্ষার্থী এ বিষয়টি মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মোঃ হেদায়েতুল্লাহ কে অবগত করেন। তিনি বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য শিক্ষার্থীকে বলেন। এরপর থেকে ওই শিক্ষার্থী আর ওই মাদ্রাসায় পড়তে যায়নি। আজকে শনিবার বিকালে ওই শিক্ষার্থীর বাবা তাকে মাদরাসায় যাওয়ার জন্য শাসন করলে তিনি শিক্ষকের দর্ষণ চেষ্টার বিষয়টি জানায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা ওই শিক্ষককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
শ্রীপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত শামীম আখতার বলেন, ধর্ষণ চেষ্টা ও ধর্ষণের অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।