themeswala
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/swadhin/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114চট্টগ্রাম, ১৬ জানুয়ারি ২০২৪: পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি-জামাত দেশকে বিপদে ফেলার জন্য সব সময় চেষ্টা করেছে। তবে শকুনের দোয়ায় যেমন কখনো গরু মরে না, তেমনি বিএনপি’র অশুভ কামনায়ও বাংলাদেশের অশুভ কোনো কিছু হবে না। পূর্ব-পশ্চিম সবার সাথে আমাদের চমৎকার সম্পর্ককে আরো গভীর করার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হবার পর মঙ্গলবার সকালে প্রথম চট্টগ্রাম এলে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন হাছান মাহমুদ। এরপর চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে বিমানবন্দরের বাইরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুলেল সম্বর্ধনা জানানো হয়। সাংবাদিকরা এ সময় ‘বিএনপি-জামাত চাচ্ছে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে, গার্মেন্টস শিল্প বন্ধ হয়ে যাবে, মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে, দেশে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হবে, তারপর তারা ক্ষমতায় আসবে’ এ বিষয়ে মন্ত্রীর বক্তব্য চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদেরকে তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন যে আন্তর্জাতিকভাবে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে গ্রহণ করেছে, সেটির প্রমাণ হচ্ছে বহু নির্বাচনী পর্যবেক্ষক বাংলাদেশে এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এনডিআই, আইআরআই, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সার্ক, ওআইসি ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর পর্যবেক্ষক থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভিন্ন সংস্থার পর্যবেক্ষকরা বাংলাদেশে এসেছে। তারা সবাই একযোগে মতপ্রকাশ করেছে, বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে অন্যান্য নির্বাচনের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম সহিংসতা হয়েছে। এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।
‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অবজারভার তথ্য-উপাত্তের জন্য নির্বাচন কমিশনে গেছেন’ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের বিদেশি বন্ধুদের আমাদের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ আছে, সেজন্য নির্বাচন কমিশনে গিয়েছেন। আমি আজকে কাগজে দেখলাম, নির্বাচন কমিশন যে তথ্য উপাত্ত দিয়েছে, এতে তারা সন্তুষ্ট হয়েছে। দেখুন, জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেশিরভাগ নিবন্ধিত দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। আপনারা জানেন, যেদিন নির্বাচন হয়, সেদিন প্রচন্ড শীত ও কুয়াশা ছিল। সেই কারণে ভোটের হার প্রায় ৪২ শতাংশ, যদি কুয়াশা এবং শীত না থাকতো তাহলে আরো বেশি ভোট কাস্ট হত। আর এই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত ও প্রতিহত করার জন্য বিএনপি যে আগুন সন্ত্রাস করেছে, পাঁচ তারিখ রাতেও অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে মানুষকে ভয় লাগানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু মানুষ ভয় পায়নি, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে গেছে।’
‘বৃহত্তর চট্টগ্রামের কক্সবাজারে ১৪ লাখ রোহিঙ্গা আছে, আপনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন, তাদের ফেরত পাঠানোর জন্য আপনি কি উদ্যোগ নেবেন’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, দেখুন, ‘আমরা সবসময় কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি, আমরা তাদের সাথে আরও এনগেজমেন্ট বাড়াচ্ছি, আমি ন্যাম সামিটে (জোট নিরপেক্ষ সম্মেলন) যাচ্ছি, সেখানে মায়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আমার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আমরা কূটনৈতিকভাবেই এই সমস্যার সমাধান করতে পারব বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’
‘বড় মন্ত্রী হওয়া নয়, জনগণের ভালোবাসা পাওয়া রাজনীতিবিদদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বড় মন্ত্রী হওয়া নয়, রাজনীতিবিদদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে জনগণের ভালোবাসা পাওয়া, গণমানুষের নেতা হওয়া, গণমানুষের এমপি হওয়া -আমি সেটিই হতে চাই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর নিজ নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সফরের পথে মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে ভিআইপি লাউঞ্জের বাইরে দলীয় নেতা-কর্মীদের ও সাধারণ মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হন ড. হাছান মাহমুদ। বিমানবন্দরের বাইরে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মিলিত উদ্যোগে আয়োজিত সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আমি আপনাদের দোয়া চাই, আশীর্বাদ চাই আমি যেন একজন রাজনীতিবিদের সবচেয়ে বড় যেটি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে গণমানুষের মানুষ হওয়া। বড় মন্ত্রী হওয়া নয়, রাজনীতিবিদদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে জনগণের ভালোবাসা পাওয়া, গণমানুষের নেতা হওয়া, গণমানুষের এমপি হওয়া আমি সেটিই হতে চাই। আমার গাড়ির সামনে কোনো একজন ভিখারিও হাত দেখালে আমি দাঁড়াই, আমি সেইভাবেই থাকতে চাই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আজকে প্রথম আমি চট্টগ্রামের মাটিতে এসেছি উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম দিয়েই এদেশে ইসলাম প্রচার শুরু হয়েছে, আমি আল্লাহর কাছে এবং আপনাদের কাছে দোয়া চাই, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ভাইদের কাছে আশীর্বাদ চাই, যাতে করে এই দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করতে পারি এবং দেশের মান-মর্যাদা আরও উজ্জ্বল করতে পারি, পূর্ব-পশ্চিম সব দেশের সাথে সম্পর্কের আরও উন্নয়ন ও ঘনিষ্ঠ করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।
নিজ নির্বাচনী এলাকার সবাই অত্যন্ত কষ্ট করেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি গত ১৫ বছর ধরে চেষ্টা করেছি গণমানুষের এমপি হওয়ার জন্য। কে আমাকে ভোট দিয়েছে কিংবা দেয়নি, সেটি কখনো আমি বিবেচনায় রাখিনি। আমি প্রার্থী হিসেবে সবসময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী, কিন্তু সবমানুষের এমপি হয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমি এবারও নতুন অভিযাত্রায় সব মানুষের এমপি হিসেবে কাজ করতে চাই।