চট্টগ্রামের রাউজানে বিয়ের ১৯ দিনের মাথায় জাহেদা আফরিন (২৮) নামে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের কমলার দিঘী এলাকার গণির বাড়ি থেকে ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
আফরিন ওই এলাকার মো. ইসমাইলের স্ত্রী। গত ১৯ দিন আগে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের সাপলেজা পাড়ার মো. ইউসুফের মেয়ে জাহেদা আফরিনের সাথে রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের আবু তাহেরের ছেলে মো. ইসমাইলের বিয়ে হয়।
জাহেদা আফরিনের স্বজনদের দাবি, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা জানান, বাসর রাতে জোরপূর্বক শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করতে গিয়ে আফরিনের যৌনাঙ্গে তিনটি সেলাই করতে হয়। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
অপরদিকে শ্বশুর পক্ষের লোকজন জানিয়েছেন, আফরিন ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। স্বামী ইসমাইলের বড়বোন জানান, নাস্তা করে শয়নকক্ষে গিয়ে দরজা আটকিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। তারা তিনজন দরজা ভেঙে উপর থেকে লাশ নিচে নামিয়েছেন।
নিহতের ভাই মো. ইব্রাহিম বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যা। বিয়ের ১৯ দিনের মধ্যে একবারও আমার বোনকে বাড়িতে নিয়ে যেতে দেয়নি। আমার বোনের জামাই নেশাগ্রস্ত ছিল। বোনকে মেরে ফেলা হয়েছে।
আফরিনের মামাতো ভাই ফরিদুল আলম সোহেল বলেন, বাসর রাতে তিনটি সেলাই হয়েছিল। জোরপূর্বক বাসর করেছিল। পরিকল্পিত হত্যাকান্ড উল্লেখ করে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করেন তিনি।
নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক জয়নাল আবেদীন জানান, সকাল ৯ টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে দরজা খোলা অবস্থায় গৃহবধূর লাশ খাটে পরে থাকতে দেখি। পরে লাশটি আমার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসি।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই উল্লেখ করে ওসি বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।