সাভার আশুলিয়ার জিরানী বাজারে বাংলাদেশ কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালের আই কেয়ার সেন্টারে মাত্র ৫টাকার টিকিট কেটেই চোখের সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ চোখের অপারেশনও করা হচ্ছে।
কোরিয়ার ইন্জি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোইকার যৌথ উদ্যোগে এ সেবা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আই হেলথ প্রমোশন এন্ড প্রিভেনশন অব ব্লাইন্ডনেস ইন সিলেক্টেড এরিয়াস অব বাংলাদেশ এর প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর ডা: মো: আব্দুল কাদের।
তিনি জানান, কোরিয়া এবং বাংলাদেশের যৌথ আর্থিক সহায়তায় ২০১৮ সালে এই প্রজেক্টের আওতায় এখানে বাংলাদেশ কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালের আই কেয়ার ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়। যেখানে কোরিয়ার আর্থিক সহায়তা রয়েছে ৭০ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশের রয়েছে ১৫ কোটি আর্থিক সহায়তা। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া এই প্রজেক্ট শেষ হবে ২০২৩সালে। এই প্রজেক্টের আওতায় ধামরাই, সাভার ও ডিইপিজেডে রয়েছ ভিশন সেন্টার। এই প্রজেক্টের মূল লক্ষ হচ্ছে সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই এলাকাতে যত অন্ধ রোগী আছে তাদের অন্ধত্ব দূর করা এবং অন্ধত্বদূরীকরণের লক্ষে কাজ করা। যার উদাহরণস্বরুপ এখানে বিনামূল্যে মাত্র ৫টাকা দিয়ে টিকিট কেটে চোখের সকল প্রকার রোগ নিরাময় করা হচ্ছে। এমনকি সকল প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ অপারেশন করার প্রয়োজন হলেও তা সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই করা হচ্ছে। বাংলাদেশের চিকিৎসকদের পাশাপাশি এখানে কোরিয়ান ডাক্তার ও নার্সরা রয়েছেন চিকিৎসা দেয়ার জন্য। এরই মধ্যে এই হাসপাতালে প্রায় ১৭ হাজার রোগী আউডডোরে সেবা প্রদান করা হয়েছে। যার মধ্যে সার্জারি করা হয়েছে প্রায় ২শতাধিক। চশমা বিতরণ করা হয়েছে প্রায় ২হাজারেরও বেশী। প্রতিদিন এখানে প্রায় শতাধিক রোগী দেখা হচ্ছে এবং প্রতি সোম, মঙ্গল ও বুধবার অপারেশন করা হয়ে থাকে। এটা সারাবছরই চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।
এখানে বর্তমানে একটি কোরিয়ান বিশেষজ্ঞ টিম ও কাজ করছে। তারা রোগী দেখা সহ এখানকার ডাক্তার, নার্সদের নিয়মিত উচ্চতর প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে।
আই হেলথ প্রমোশন এন্ড প্রিভেনশন অব ব্লাইন্ডনেস ইন সিলেক্টেড এরিয়াস অব বাংলাদেশ কোরিয়ার পক্ষে প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর ওক ইয়াং জানান, বাংলাদেশের সাথে এই প্রজেক্টে কাজ করতে পেরে তিনি আনন্দিত। এই প্রজেক্টের আওতায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই মানুষরে চোখের চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে। এই প্রকল্পটি দীর্ঘদিন চলমান থাকবে বলেও তিনি আশাবাদী।
এই আই কেয়ার ইউনিটের ইনচার্জ কনসালটেন্ট ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সারের সার্বিক তও্বাবধানে সেবা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে পুরোদমে।