
মোহাম্মদ আম্মার মিয়া (অসীম) গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ—গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু মোঃ আব্দুর রহমান। মাত্র ৪ বছর বয়সী শিশু আব্দুর রহমান আর ১০ জন শিশুর মতো দুরন্তপনায় মাতিয়ে রাখতো প্রিয় শিক্ষাঙ্গন ও খেলার মাঠ, কিন্তু সে এখন দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছে। আব্দুর রহমান কাশিয়ানী উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের ডাঙ্গা মাজড়া গ্রামে বসবাসকারী হতদরিদ্র দিনমজুর মোঃ জাফর খান ও আয়শা বেগমের ছোট ছেলে। সে মাজড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, গত এক বছর আগে আব্দুর রহমান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শে ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) তে নিয়ে যান পিতা মোঃ জাফর খান। হাসপাতালে ভর্তির পর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো শেষে আব্দুর রহমানের ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। আর ওই পর্যন্ত চিকিৎসা খরচ জোগান দিতেই সর্বস্বান্ত হয় তার পরিবার। এখন আব্দুর রহমানের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা তাদের জন্য দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। তার উপর প্রতি সপ্তাহে রক্ত দিতে হচ্ছে আব্দুর রহমানের শরীরে। রক্ত দিতে না পারলে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ায় বেড়ে গেছে আব্দুর রহমানের পিতা-মাতার উৎকণ্ঠা।
বর্তমানে সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাকে প্রায় আরও ৩ বছরমেয়াদি চিকিৎসা নিতে হবে। এরমধ্যে রয়েছে কেমোথেরাপি, হিমোগ্লোবিন ও দামি ইনজেকশন। এতে খরচ হবে প্রায় ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা। আব্দুর রহমান কে বাঁচাতে আকুতি জানিয়েছেন তার বাড়ির পাশে প্রতিবেশীরা ও সহপাঠীরা, দেশের মানুষ যদি আমাদের আব্দুর রহমানের চিকিৎসার জন্য সবাই যদি এক টাকা করে দান করেন তা হলে বেঁচে যেতে পারে আব্দুর রহমানের জীবন।
এলাকাবাসী জানান, আব্দুর রহমান একজন মেধাবী ছাত্র। সে এখন ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাকে চিকিৎসা করাতে অনেক টাকার প্রয়োজন। যা তার দরিদ্র পিতা-মাতার পক্ষে জোগাড় করা অসম্ভব। সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তার বাবা ও মা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা জান্নাত জানান, আব্দুর রহমানের বিষয়ে জেনেছি। আমরা মর্মাহত। তাকে মানসিক ও আর্থিক সবধরনের সাহায্য করবো।
সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন আব্দুর রহমানের পিতা মোঃ জাফর খানের সঙ্গে মোবাইল নাম্বার ০১৭৭২-৪৭৬৫৮৪, ০১৮৭৪-৩৩৪৪৮৫।