
আরিফুজ্জামান হিমন ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ——-ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের বন্ডপাশা আদর্শ বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী সুজন মুন্সীকে আটক করেছে বোয়ালমারী থানা পুলিশ। তবে কেন তাকে আটক করা হয়েছে রহস্যজনক কারণে তা বলতে চাননা বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গোলাম রসূল।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ভুক্তভোগী সুজনের স্ত্রী আরিফা বেগম (২৪) বলেন, সিভিল পোশাকে কয়েকজন লোকজন এসে আমাকে আমার ভাসুরের (বড় ভাই) কথা জানতে চান। তখন আমি তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা আমাকে বোয়ালমারী থানা পুলিশ পরিচয় দেন। তখন তাদের আমি আমার ভাসুর কোথায় আছে জানি না বলে জানাই। এরপর তারা চলে যায়। যাওয়ার সময় পথিমধ্যে আমার স্বামী সুজন মুন্সী বাড়ীতে আসতে ছিল তখন পুলিশের সদস্যরা অজ্ঞাত কারণে আমার স্বামীকে নিয়ে গাড়ীতে উঠে যায়। পরে থানায় যোগাযোগ করা হলে জানতে পারি তাকে সেখানে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন কি কারনে কেন আমার স্বামীকে পুলিশ থানায় নিয়েছে তা আমরা জানি না। আমার স্বামী সুজন মুন্সী বন্ডপাশা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থত শ্রেণীর কর্মচারী তিনি কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী বা সর্মথক ছিল না।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান তিনি জানান সকালে আমাদের নিরাপত্তা কর্মী সুজন মোল্ল্যাকে স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানের চিঠি বিলি করতে দিয়েছিলাম। পরে বিকালে শুনি তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। কি কারনে কেন ধরেছে আমি তা জানি না। তবে সুজন কোন রাজনৈতিক দলের কেউ ছিল না। সে নিছক একজন ভদ্র মানুষ।
এদিকে সুজনের প্রতিবেশী লাভলী বেগম জানান, সুজনকে ছোট বেলা থেকে চিনি সে স্কুলে ছোট একটি চাকুরী করে। হঠাৎ সিভিল পোশাকে কিছু পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে যায় তবে কেন নিয়ে যায় তা আমরা জানি না। তবে সুজনকে কোনদিন কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত হতে দেখি নাই।
সুজনের গত ৪ বছর যাবত নিরাপত্তা কর্মীর চাকুরী করেন। তার একটি কন্যা ও একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। পুলিশ সুজনকে থানায় নিয়ে যাওয়ারতে সন্তান ও পরিবারের লোকজন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না।
উল্লেখ্য, গত ১লা ফেব্রুয়ারি শনিবার বোয়ালমারী উপজেলার রুপপাত ইউনিয়নের বনমালীপুর বাজার এলাকায় আওয়ামীলীগ সর্মথীত লোকজন অন্তরবর্তী সরকারের বিপক্ষে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন। এর পরই প্রশাসন এই অভিযান চালায়।