themeswala
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/swadhin/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ-২ আসনের (দিরাই–শাল্লা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্তা দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগ তুলেছেন। নৌকার প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে ওসি ভোটারদের নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন বলে বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
তবে দিরাই থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে আমি কারও পক্ষ নিতে পারি না। আমি শতভাগ নিরপেক্ষভাবেই আমার দায়িত্ব পালন করছি।’
এ আসনে এবার নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। তিনি পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনের ছোট ভাই। এখানে এবার নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জয়া সেনগুপ্তা। তাঁর প্রতীক কাঁচি। তিনি এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী।
জয়া সেনগুপ্তা তাঁর লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, দিরাই থানার ওসি সম্প্রতি বদলি হয়ে এখানে এসেছেন। দায়িত্ব নিয়েই তিনি নানা কৌশলে জয়া সেনগুপ্তার ভোটার ও কর্মী-সমর্থকদের নানাভাবে হুমকি ও হয়রানি করছেন। ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। নাশকতা ও পুলিশের ওপর আক্রমণকারী হিসেবে অভিযুক্ত করে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলার ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।
জয়া সেনগুপ্তা আরও বলেন, ‘ওসি কোনো কোনো ভোটার ও কর্মীকে থানায় ডেকে নিয়ে আমার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদের পক্ষে কৌশলে ভোট চাচ্ছেন। তিনি নিজেকে ওই প্রার্থীর দূরসম্পর্কের আত্মীয় পরিচয় দিচ্ছেন। কোনো কোনো ভোটারকে কেন্দ্রে না যেতে হুমকি দিচ্ছেন। ভোট না দিলেও বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শকের আপন ছোট ভাই হিসেবে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে এমনিতেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জয়ী হবেন বলে কৌশলে ভোটারদের বার্তা দিচ্ছেন।’
এতে সুষ্ঠু ভোট না হওয়ার আশঙ্কা ছাড়াও ভোটার উপস্থিতি কম হওয়াসহ উৎসবমুখর নির্বাচন না হওয়ার আশঙ্কা করছেন জয়া সেনগুপ্তা। ওসির বিরুদ্ধে দেওয়া লিখিত অভিযোগে তিনি আরও বলেন, কোনো কোনো স্থানীয় সাংবাদিকও স্বাধীন সাংবাদিকতার অংশ হিসেবে রিপোর্টিং করা থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। এ অবস্থায় ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীকে অন্যত্র বদলি এবং এখানে একজন সৎ কর্মকর্তাকে পদায়ন করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য জয়া সেনগুপ্তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন ধরেননি।
সুনামগঞ্জ-২ আসনে এবার তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনজনই আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। এর মধ্যে নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন দুজন। অন্যজন হলেন সাবেক সচিব মিজানুর রহমান, তাঁর প্রতীক ঈগল।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদের বাবা আবদুল মান্নান চৌধুরী শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও শাল্লা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। পারিবারিকভাবেই তাঁরা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত। তবে এসব পরিচয় ছাপিয়ে যেটি এখন সামনে, সেটি হলো চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনের ছোট ভাই।
জয়া সেনগুপ্তা এ আসন থেকে বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মারা যাওয়ার পর ২০১৭ সালের উপনির্বাচনে প্রথম সংসদ সদস্য হন জয়া সেনগুপ্তা। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে আবার তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হন।
জয়া সেনগুপ্তা এ আসন থেকে বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মারা যাওয়ার পর ২০১৭ সালের উপনির্বাচনে প্রথম সংসদ সদস্য হন জয়া সেনগুপ্তা। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে আবার তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হন। এবারও তিনি দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু শেষমেশ নৌকা পান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। এ দুই প্রার্থীর হয়ে দলের নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। মাঠে জোরেশোরে প্রচারণা চালাচ্ছেন দুই প্রার্থী। এর মধ্যে জয়া সেনগুপ্তা শাল্লা থানার ওসির বিরুদ্ধে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগে করেছেন।
কিন্তু সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ অংশে বলা আছে, সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের কোনো অঙ্গসংগঠনের সদস্য হতে অথবা অন্য কোনোভাবে যুক্ত হতে পারবেন না অথবা বাংলাদেশ বা বিদেশে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে বা কোনো প্রকারের সহায়তা করতে পারবেন না।