কোনাবাড়িতে তুসকা গ্রুপের পোশাক কারখানার ডাস্টের কারনে অতিষ্ট অত্র কারখানার আশ-পাশের কয়েকটি বসতবাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়ারা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কোনাবাড়ি নীলনগর এলাকায় তুসকা গ্রুপের একটি পোশাক কারখানার পিছনের অংশে কয়েকটি বসতবাড়ির দেওয়াল, বেলকনি, বাড়ির ছাদ, পানির টাংক, সিড়ি ডাস্টের আবরণ তৈরি হয়ে আছে। বসতবাড়ির প্রতিটি রুমে কারখানার ডাস্টে ছয়লাপ।
সেই সব বসতবাড়ির মালিক ও বাড়াটিয়ারা তুসকা গ্রুপের পোশাক কারখানার ডাস্ট থেকে বাঁচতে নিজ বাড়ির দেওয়াল,রুম,বেলকনিতে পলি ও কাপড় দিয়ে ডেকে রেখেছে তাতেও কোন লাভ হচ্ছে না। কিছুখন পর পর রুম ও আসবাবপত্র পরিস্কার করতে হচ্ছে তাদের।
এমন অবস্থায় বাড়ির মালিকরা বলেন, তুসকা গ্রুপের কারখানার পিছনে আমাদের বাড়ি থাকা যেন অভিশাপ হয়েছে দাড়িয়েছে। তাদের কারখানার ডাস্টের কারনে আমরা বসবাস করতে পারছিনা। পলি দিয়ে বাড়ি সামনে ডেকে দেওয়ার পরও রুমে ভেতর ডাস্ট যাচ্ছে এতে প্রতিনিয়ত আসবাবপত্র, বিছানা, খাবার নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া ডাস্টের কারনের পরিবারে অসুস্থতা লেগেই থাকে ও বাড়াটিয়ারাও থাকতে চাচ্ছে না। এতে অনেক রুম খালি রয়েছে।
বাড়ি মালিকরা আরো বলেন, নিজেদের শেষ সম্বল টুকু দিয়ে ২০ থেকে ২৫ জন মিলে সমিতির মাধ্যমে এই বাড়ি করেছি। কিন্তু তুসকা গ্রুপে এমন অত্যাচারে আমরা এখানে বসবাস করতে পারছিনা। তারা আমাদের কে এখান থেকে উঠিয়ে দেওয়ার পাইতারা করছে। তাই তুসকা গ্রুপ ডাস্ট বন্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
এই বিষয়ে তুসকা গ্রুপের কর্তপক্ষের কাছে জানতে চাইলে তারা কোন মন্তব্য করেনি।
গাজীপুর জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নয়ন মিয়া বলেন, কয়েকদিনের মধ্যেই তুসকা গ্রুপে একজন পরিদর্শক পাঠানো হবে ও তার রির্পোট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।