মাসুদ রানা সাভার (ঢাকা)প্রতিনিধি :–ছাত্রলীগকে রাজনৈতিক ছাত্রলীগকে রাজনৈতিক সংগঠক হিসেবে নয় সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে সরকার নিষিদ্ধ করেছে সংগঠক হিসেবে নয় সন্ত্রাসী গংগঠন হিসেবে সরকার নিষিদ্ধ করেছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বতীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
শুক্রবার দুপুরে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগান এলাকায় ব্র্যাক সিডিএমএ তিন দিন ব্যাপি মহিষ নিয়ে এশিয়ান বাফালো কংগ্রেস সম্মেলনের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এসময় আরও বলেন,আওয়ামী লীগকে এখনো নিষিদ্ধর ব্যাপারে পরিকল্পনা হয়নি,ছাত্রলীগ সবসময় সন্ত্রাসী কার্যকালাপে লিপ্ত ছিলো ছাত্রলীগ যদি ভালো রাজনীতিতে থাকতো তাহলে নিষিদ্ধ হতো না তারা নিজেরা আইন ভঙ্গ করেছে আইন হাতে তুলে নিয়েছে তাই নিষিদ্ধ করা হয়েছে এছাড়া কোন উপায় ছিলো না। এ সময় তিনি আরো বলেন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যারা নদীতে ইলিশ মাছ ধরছে তারা জেলে না তারা দুস্কৃতিকারী তারা ব্যবসা না করে তারা মুনাফা চায় এজন্য ইলিশ মাছ ধরছে নদীতে মাছ না ধরতে সরকার কঠোর আইন নিয়েছে ইতি মধ্যে অবৈধ অনেক কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে জেলেরা জানে তারা জীবিকার সাথে জড়িত তারা মাছ না ধরে আইন মেনে চলছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন,আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে তাদের কাজ ভালো ছিলো দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছে বিদেশ থেকে টাকা ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। দেশে অনেক চর অঞ্চল আছে সেই চর অঞ্চলে মহিষ পালনে সরকার নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। মহিষের মাংসের অনেক চাহিদাও বেড়েছে। দেশে গরুর মাংস বিক্রিতে অনেক রকম কারসাজি আছে দামটা ঠিক করে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় সেজন্য সরকার কাজ করছে শুধু মাংস না অন্যন্য প্রাণিজ ও আমিষসহ সব খাদ্যে দাম নিয়ন্ত্রণে আনার দরকার বলেও বলেন তিনি।
এসময় মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার,প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক ড.রিয়াজুল হক,বাংলাদেশ প্রাণি সম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহ-পরিচালক ড.এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন,এশিয়ান বাফালো এ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি প্রফেসর ড.ওমর ফারুক,আয়োজক কমিটির সচিব ড.হিরন্ময় বিশ্বাসসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
তিন দিন ব্যাপী এশিয়ান বাফালো অ্যাসোসিয়েশন নিয়ে কাজ করা এশিয়ান বিজ্ঞানীদের একটি নেটওয়ার্ক এবং সংগঠন। তিন দিনব্যাপী ১১তম এশিয়ান বাফালো কংগ্রেস সম্মেলনে বিশ্বের ৯ টি দেশের ১৫০ জন অংশগ্রহণকারী শিক্ষাবিদ, গবেষক, কৃষক এবং মহিষ নিয়ে কাজ করা নীতি নির্ধারকরা অংশ গ্রহণ করেন।
সিংক ফরিদা আখতার মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ উপদেষ্টা।