গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার দরবাড়িয়া এলাকায় বিষ প্রয়োগ করে ধানের চারা নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় জমির মালিকের কেয়ারটেকার সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। গত (৬ মার্চ) বিকেলে উপজেলার দরবারিয়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও কেয়ারটেকার সূত্রে জানাযায়, উপজেলার আটাবহ ইউনিয়নের দরবারিয়া এলাকায় হাজী আলী হোসেন পেশায় একজন ব্যবসায়ি। কিন্তু তার ১৯১শতাংশ কৃষি জমি দেখা শোনা করার জন্য কেয়ারটেকার হিসেবে সাইফুলকে নিযুক্ত করেন। এর ধারাবাহিকতায় কেয়ারটেকার সাইফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে জমিতে ধান চাষের আবাদ করে আসছে। এখান থেকে যে ফসল উৎপাদন হয় তা দিয়েই কেয়ারটেকারের সংসার চলে। তার জীবিকার এক মাত্র উৎস ওই জমিতে চাষাবাদ করে ফসল উৎপাদন করা। তিনি এ বছরও পূর্বের মত জমিতে ধান চাষ করেন। কিন্তু এবছর এক শ্রেনীর প্রভাবশালী মাটি খেকো লোক ওই জমির উপর দিয়ে মাটি কাটার ডাম্প ট্রাক চলার জন্য রাস্তা তৈরি করতে চাই। তিনি ট্রাক ও ভেকু চলার জন্য রাস্তা দিতে রাজি না হলে তার উপর ক্ষিপ্ত হয় মাটি ব্যবসায়ি। এর জের ধরে গত রবিবার অজ্ঞাতনামা কে বা কারা ধান খেতে বিষ প্রয়োগ করে। এতে ধানের চারা নষ্ট হয়ে প্রায় দশ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন হয়। ধান খেতে বিষ প্রয়োগ হয়েছে এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে। এলাকাবাসী ও লোকজন ধান ক্ষেত দেখতে আসে। পরে এলাকাবাসী এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অপরাধীদের দূত আইনের আওতায় এনে প্রচলিত আইনে ম্যাধমে শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবী জানান।কেয়ারটেকার সাইফুল ইসলাম বলেন, যতটুুকু রাস্তা দিয়ে ভেকু ও ট্রাক চলতে পারে ঠিক ততটুকু ধানের ক্ষেতে বিষ দেয়া হয়েছে। দেখেন দেখেন রাস্তার সমান করে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। আমি দীর্ঘ দিন ধরে এ জমিতে চাষাবাদ করে ফসল উৎপাদন করে আসছি। কিন্তু এবছর আমার ফসল এবাবে নষ্ট করা হলো। আমি এবছর ছেলে সন্তান নিয়ে কি খাবো। আমি এমন অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
কর্মচারী দুলাল উদ্দিন বলেন, ৫-৬ মাস ধরে অনেক পরিশ্রম করে সবুজ শ্যামল ফসল উৎপাদন বাস্তবায়নের কাজ করে আসছি। কিন্তু কে বা কাঁহারা এমন একটা নিকৃষ্ট কাজ করেছে। আমরা চাই সঠিক তদন্তের ম্যাধমে এসকল অপরাধীদের চিহ্ন করে আইনের আওতায় আনা হোক।
কালিয়াকৈর থানার তদন্ত (ওসি) আবুল বাশার অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।