কালিয়াকৈরে মধ্যযুগীয় কায়দায় এবার ১০ম শ্রেনীর এক ছাত্রকে হাত বেঁধে পেটালেন বিদ্যালয়ের সেই প্রধান শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোলামনবী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে। এর আগেও সহকারী প্রধান শিক্ষক ও তার স্ত্রীকে পিটিয়ে সমালোচিত হন ওই প্রধান শিক্ষক।আহত শিক্ষার্থী হলেন, কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাইর এলাকার আরহাম আলীর ছেলে আলামিন। সে গোলামনবী বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্র।ভুক্তভোগী পরিবার ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে আলামিনের সাথে সিনিয়র-জুনিয়র বিষয়কে কেন্দ্র করে তার কয়েকজন সহপাঠীর বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে গত সোমবার বিকেলে তার দু-গ্রপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকালে আলামিন স্কুলে গেলে তার সহপাঠীদের সঙ্গে আবারো কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি জানতে পেরে দুপুরে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলকাছ উদ্দিন তার অফিসে ডেকে নিয়ে পিছন থেকে আলামিনের দুহাত বেঁধে ফেলে। পরে পাইপ দিয়ে এলোপাথারিভাবে পিটিয়ে তাকে নিলাফুলা জখম করে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ঐ প্রধান শিক্ষকের অফিসে গিয়ে তার হাতের বাঁধন খুলে তাকে উদ্ধার করে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে তাকে চিকিৎসা দেন। এ ঘটনায় আহত ছাত্রের বাবা আরহাম আলী বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।ওই ছাত্রের বাবা আরহাম আলী বলেন, আমার ছেলের সহপাঠীরা তাকে মারধর করলে প্রধান শিক্ষকের কাছে বিচার দেই। কিন্তু তিনি উল্টো আমার ছেলেকে বেধে গরুর মতো পেটালেন।শুধু ওই ছাত্র আলামিনকে নয়, কয়েক মাস আগে ওই প্রধান শিক্ষক তার বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসানকে প্রকাশ্যে মারধর ও তার স্ত্রীকে লাঞ্ছিত করেন। ওই ঘটনায় থানায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ হলে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়। এরপর গত কয়েকদিন ধরে ওই সহকারী প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে ঢুকতে নিষেধ করেছেন প্রধান শিক্ষক আলকাছ উদ্দিন। এসব ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় লোকজন।অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আলকাছ উদ্দিন কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে তিনিও থানায় একটি অভিযোগ করেছেন বলেও জানান। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাত জানান, ছাত্রকে পেটানোর ঘটনাটি নেক্কার জনক ঘটনা। এ ঘটনায় ছাত্রের পক্ষ ও শিক্ষকের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।