নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর:
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক। সোমবার মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কাছে দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত ৫ বছরে তার বাড়ি ও জমির পরিমাণ বাড়লেও কমেছে নগদ ও ব্যাংকে জমা করা টাকার পরিমাণ।
২০১৮ সালে নির্বাচনী হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেন কৃষি খাত থেকে আয় ১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা, ভাড়া বাবদ আয় ৩৬ হাজার টাকা, পোলট্রি থেকে আয় ১৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, নিজ নামে শেয়ার সঞ্চয়পত্র/ ব্যাংক আমানত/ ব্যাংক সুদ ২৬ হাজার টাকা, পারিতোষিক ও ভাতাদি থেকে আয় ২৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৮০ টাকা। নিজের নগদ টাকা ছিল ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৩১ টাকা। ব্যাংকে জমা ছিল ১৭ লাখ ৭৭ হাজার ৭৩ টাকা। স্ত্রীর ছিল ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৯০৪ টাকা। নিজ নামে ১০ তোলা ও স্ত্রীর নামে ছিল ১২ তোলা স্বর্ণ। তিনটি গাড়ির মধ্যে একটির মূল্য ছিল ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, আরেকটির মূল্য ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও অন্যটির মূল্য ৪২ লাখ টাকা।
স্ত্রীর নামে কৃষি জমি ছিল ৩৫ শতাংশ ও অকৃষি জমি ১৩ শতাংশ। নিজ নামে ৪৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ কৃষি জমি, ৫১ দশমিক ১৫ শতাংশ অকৃষি জমি, ৯৬০ বর্গফুটের একটি আধাপাকা টিনসেড। তার ১ হাজার ৫৬৮ বর্গফুটের দোতলা দালান ছিল যার মূল্য ৪০ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে তার বার্ষিক আয় ছিল ৪৫ লাখ ৬৬ হাজার ২৮০ টাকা। একই বছর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৪৭ লাখ ২৬ হাজার ১০৪ টাকা। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজের ও স্ত্রীর নামে কৃষি ও অকৃষি জমির মূল্য না দেখালেও তখন একটি ১ হাজার ৫৬৮ বর্গফুটের দু’তলা দালানের মূল্য ৪০ লাখ টাকা এবং ৯৬০ বর্গফুটের একটি টিনশেডের মূল্য দেড় লাখ টাকা উল্লেখ করেন।
২০২৩ সালের হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেন, কৃষিখাতে তার আয় ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত/ ব্যাংক সুদ বাবদ আয় ১৮ হাজার ৯৯৪ টাকা। মন্ত্রী হিসেবে সম্মানী ভাতা পান ২৩ লাখ ২৫ হাজার ৮৮৮ টাকা। নগদ টাকা রয়েছে ১০ লাখ ৩৬ হাজার ১০০ টাকা। ব্যাংকে জমা আছে ১০ লাখ ৮৬ হাজার ৪৫০ টাকা। ভাওয়াল প্রোপার্টিজ লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানে শেয়ার রয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার। স্বর্ণ রয়েছে ৭ ভরি। আসবাবপত্র রয়েছে দেড় লাখ টাকার। তার ৬৯১ দশমিক ০৮ শতাংশ কৃষি জমি, ১০১ দশমিক ৪৮ শতাংশ অকৃষি জমি, ১০ তলা ফাউন্ডেশনের দুই তলা আবাসিক দালান রয়েছে যার মূল্য ১ কোটি ৪৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯০০ টাকা, ১ হাজার ৫৬৮ বর্গ ফুটের একটি দোতলা দালান রয়েছে যার মূল্য ৪০ লাখ টাকা। এ ছাড়া ৯৬০ বর্গফুটের আধাপাকা একটি টিনসেড বাড়ি রয়েছে যার মূল্য দেখানো হয়েছে দেড় লাখ টাকা। ২০২৩ সালে তার আয় হলো ২৫ লাখ ৩৯ হাজার ৮৮২ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে এক কোটি ২২ হাজার ৫৫০ টাকা আর স্থাবর সম্পত্তির হিসাব দেখিয়েছেন দুই কোটি ৫ লাখ ৮৪ হাজার ২০০ টাকা। তিনি বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন হতে আবাসিক ঋণ গ্রহণ করেছেন ৯৮ লাখ ৯৮ হাজার ৯২০ টাকা।
হলফনামায় দেওয়া তথ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি সহজ সরল মন নিয়ে রাজনীতি করেন। যার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে দেশের সেবা করা। নিজের যা আছে সবই তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।