শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৭ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
দ্বাদশ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চান- ফয়জুর রহমান বাদল ; প্রতিদান দিতে প্রস্তুত নবীনগর উপজেলার বাসিন্দারা
/ ১২৬ Time View
Update : শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০২৩, ৮:১৫ অপরাহ্ন

বিশেষ প্রতিনিধি:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। এরমধ্যে এলাকামূখী হতে শুরু করেছেনে সংসদ সদস্য প্রার্থীগন। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া (৫) নবীনগর আসনে নিয়মিত জনসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুল রহমান বাদল। চান দ্বাদশ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন। যদিও তথ্য রয়েছে ফের নমিনেশন চাইবেন- এমন অসংখ্য সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে বিরুপ মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছেন খোদ নিজ দলীয় নেতাকর্মীরাই। ইতোমধ্যে একাধিক আসনে গ্রুপিং কিংবা হানাহানির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। যেসব আসনে এমন ঘটনা ঘটেছে, সেসব সংসদ সদস্যদের নেতৃত্বের গুনাবলীও এখন রাজনৈতিক বিভিন্ন মহলে প্রশ্নবিদ্ধ। যারা নিজ উপজেলার দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষকে বুকে টেনে নিয়ে রাজনৈতিক ভারসাম্যের দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন, তাদের অন্যতম একজন হলেন ফয়জুর রহমান বাদল। নবীনগরকে অনুন্নয়নের বেড়াজাল থেকে করেছিলেন মুক্ত। নবীনগর উপজেলার বাসিন্দারা অকপটে এক কথায় বলেছেন, দ্বার প্রান্তে উন্নয়নের জোয়ার এনে দিয়েছেন, ফয়জুর রহমান বাদলকে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে এর প্রতিদান দিতে চান নবীনগর উপজেলার বাসিন্দারা।

তিনি দীর্ঘদিন ধরেই এই আসনটিতে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। দলীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এবারে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া (৫) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জোরালো দাবিদার হয়ে ওঠেছেন ফয়জুর রহমান বাদল। তিনি কোভিড মহামারীর সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি সবসময়ই এলাকার সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীদের অসুস্থতায় সর্বদা পাশে থাকেন, অস্বচ্ছল নেতাকর্মীদের আর্থিক সহায়তা, চিকিৎসা খরচ সহ বিভিন্ন সহায়তা দিয়ে মানুষের পাশে ছিলেন ও আছেন। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত হন ফয়জুর রহমান বাদল। তিনি মূলত তাঁর পিতা আগরতলা যড়যন্ত্র মামলার ১৫নং আসামি সার্জেন্ট মুজিবুর রহমান সাহেবের কাছ থেকেই রাজনৈতিক অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। তিনি ক্যান্টমেন্টের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দলীয় সকল কর্মকাণ্ডের সাথে নিজেকে জড়িত রেখেছিলেন। বেগম জিয়া যেই সেন্টারের ভোটার ছিলেন তিনি ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে সেই সেন্টারের দলীয় এজেন্ট থাকতেন, যা তৎকালীন সময়ের জন্য একটি সাহসিকতার পরিচয় বহন করে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক কাঠামোকে ঢেলে সাজানোর এখনই সময় আর স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানে এর বিকল্প নেই। উন্নয়নকে টেকসই করতে এখন রাজনৈতিক অঙ্গিকারকে বাস্তবে রূপ দেয়ার খুব প্রয়োজন। আমার রাজনৈতিক গবেষণা ও বিশ্লেষণ আমাকে বংলাদেশের আপামর জনতার মৌলিক চাহিদার একটা আয়নার সামনে দাঁড় করিয়েছে। আমি এখানে দেখতে পাই জনগণ এখন সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি নিরাপত্তা চায়, যা ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন। আমি সেই অভিজ্ঞতার আলোকে সামাজিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করার জন্য মানসিক ও তাত্ত্বিকভাবে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

ফয়জুর রহমান বাদল বলেন, সমাজে এখন মানবিক মূল্যবোধের বড়ই অভাব আর মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের প্রধানতম কারণ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অবদমিত রাখার প্রবণতা। এই প্রবণতা গড়ে তুলেছে স্বাধীনতা বিরোধী ও দেশ বিরোধী একটি চক্র।তাদের সেই দেশ ও সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তৃণমূলে জাগ্রত করা খুবই দরকার। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে এবং শেখ হাসিনা’র কর্মী হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকারকে সফল করতে নিজেকে প্রস্তুত রেখেছি সবসময়। কোন সময়ই কোন পরিস্থিতিতে স্বাধীনতা বিরোধীদের মাথা তুলে দাঁড়াতে দেইনি এবং দেবও না”।

ফয়জুর রহমান বাদল আরও বলেন, “শিক্ষা, স্বাস্থ্য আর অন্ন-বস্ত্রের যে মৌলিক চাহিদা মাঝেমধ্যে সেটি হুমকির মধ্যে পড়ে যায়। এর কারণ সমাজে একটা দুষ্টু চক্রের আধিপত্য।প্রধানমন্ত্রীর নিরলস পরিশ্রমকে দুষ্টু চক্রটি খুব বেশি ক্ষতি করতে না পারলেও রাজনৈতিক মহলে ঘাপটি মেরে বসে থাকার কারণে তা মাঝে মধ্যে হুমকির মুখে পড়ে। এখন সেই ঘাপটি মেরে থাকা দুষ্টু চক্রকে চিহ্নিত করে দমন করা দরকার। আমি প্রধানমন্ত্রীর সেই আগাছা পরিষ্কার ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া (৫) নবীনগরের এ আমার অসমাপ্ত কাজগুলোকে আমি করে যেতে চাই এবং উন্নয়ন বিপ্লবে আমাদের নেত্রীর সহযোদ্ধা হতে চাই”।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page