themeswala
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/swadhin/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বিশেষ প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে জাপানের দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্পে অবদান এবং মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, মাতারবাড়ি, উন্নয়ন প্রকল্পসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে জাপানি সহায়তার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে রাজধানীর গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে আইটি ও আইটিইএস সেক্টরে বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে জাপানি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে “বাংলাদেশ আইটি বিজনেস সামিট-২০২৪” শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রযুক্তি সম্পর্কে ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম চালু করতে চাই। আমি প্রাইভেট সেক্টরকেও আমন্ত্রণ জানাই যদি তারা প্রশিক্ষণ তথ্য কেন্দ্রে আগ্রহী থাকে তাহলে সরকারের তরফ থেকে বিনা মূল্যে জমি প্রদান করতেও আমরা প্রস্তুত আছি। এছাড়া আমাদের হাইটেক পার্কের ভিতরেও প্রস্তুত জায়গা বরাদ্দ করছি। আমরা ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ জাপান আইটি পোর্টাল চালু করেছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের লঞ্চপ্যাডের উপর ভিত্তি করে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার তার নতুন রূপকল্প ঘোষণা করেছেন। স্মার্ট সিটিজেন হল স্মার্ট বাংলাদেশের ৪ টি স্তম্ভের মধ্যে প্রথম এবং প্রধান স্তম্ভ, যার অর্থ স্মার্ট সিটিজেন হবে সৃজনশীল, উদ্ভাবনী এবং সমস্যা সমাধানকারী। বাংলাদেশী তরুণ মেধাবী প্রকৌশলীরা জাপানে ইএমআই ল্যাবের মতো IOT এবং রোবোটিক্স ভিত্তিক সমাধান নিয়ে কাজ করছেন। হতে পারে, অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে এমন উদ্ভাবনী সমস্যা সমাধানকারীর প্রয়োজন হবে। COVID-19-এর সময়, আমরা কৃষি কর্মশক্তির ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছি, তাই আমাদের অবশ্যই IOT, AI এবং রোবোটিক্সের মতো সীমান্ত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই ক্ষেত্রের যান্ত্রিকীকরণ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, স্বাধীনতা থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী। হাইওয়ে কমিনিকেশন, মেট্রোরেল, থার্ড টার্মিনাল, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর ইত্যাদি সহ বিভিন্ন মেগা প্রজেক্টে জাপান সফলতার সাথে কাজ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘমেয়াদী ভিশন নিয়ে পোস্ট, টেলিকম এবং আইসিটি খাতে বিনিয়োগ করতে জাপানি বিনিয়োগকারীদের অনুরোধ করছি।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, প্রযুক্তি, বিশেষ করে আইসিটি, একটি আন্তঃসীমান্ত সমস্যা, এর কোনো ভূমি সীমানা নেই। আমাদের প্রায় ৭ লক্ষ আইটি ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করছে। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, অস্ট্রেলিয়া , সিঙ্গাপুর এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের বহুজাতিক কোম্পানির সাথে আউটসোর্সিং করছে। আমরা আইসিটি সেক্টরে একটি স্টার্টআপ এবং উদ্যোক্তা বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছি। উদ্যোক্তা এবং ফ্রিল্যান্সাররা শুধুমাত্র নিজেদের জন্য অর্থ উপার্জন করে না, আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতেও অবদান রাখে। এভাবেই আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এবং সজীব ওয়াজেদ জয়ের গতিশীল দিক-নির্দেশনায় আমাদের অর্থনীতিকে শ্রমভিত্তিক থেকে প্রযুক্তিভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করেছি এবং এখন আমরা জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছি।
পলক বলেন, একটি কথা আছে যে “প্রতিটি সঙ্কটের মাঝেই রয়েছে মহান সুযোগ,” এবং আমরা এটি কোভিডের সময় অনুভব করেছি। আমাদের অভ্যন্তরীণ সফ্টওয়্যার বিকাশকারীরা টিকা নিবন্ধন এবং পরিচালনা ব্যবস্থার জন্য ‘সুরক্ষা’ অ্যাপটি তৈরি করেছে এবং আমরা এই অ্যাপটি ব্যবহার করে ১২০ মিলিয়ন ব্যবহারকারীকে নির্বিঘ্নে টিকাদান পরিষেবা দিয়েছি। এটা আমাদের মেধাবী তরুণদের গুণগতমান ও সক্ষমতা প্রকাশ পায়। এভাবেই আমরা নাগরিকের নখদর্পণে সব সরকারি সেবা দিতে চাই। জাপানি বিনিয়োগকারীদের, সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলির জন্য প্রযুক্তি, B2B, B2G, এবং G2G সহযোগিতার জন্য বিপুল সম্ভাবনাময় সুযোগ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইলেকট্রনিক্স, ডিজিটাল ডিভাইস ম্যানুফ্যাকচারিং, অ্যাসেম্বলিং প্ল্যান্ট, সফ্টওয়্যার, আইসিটি শিল্প এবং স্টার্টআপে জাপানি কোম্পানিগুলির আগ্রহ আমি দেখেছি। বর্তমানে, আমাদের বাংলাদেশে ২৫০০ টি স্টার্টআপ রয়েছে এবং তাদের মধ্যে ২০০ টি স্টার্টআপ জাপান, সিঙ্গাপুর, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ ২ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে। এটি দেখায় যে বাংলাদেশি স্টার্টআপগুলি বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি এবং বিশ্বাস অর্জন করেছে। এই সব সাফল্যের পাশাপাশি দক্ষ মানবসম্পদ, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, বাজার মাপযোগ্যতা, পলিসি, সরকারি সহায়তা এবং লজিস্টিক সকল ক্ষেত্রে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করেছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের যোগাযোগ ও অভ্যন্তরীণ অবকাঠামোগত উন্নয়নে জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। আমারা বেসরকারি খাত এবং জাপান সরকারের সহযোগিতায় স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প অর্জনের মাধ্যমে সাফল্যের শিখরে পৌঁছাতে চাই।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, বাংলাদেশ স্টার্টআপ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ,বেসিসের আহমেদুল ইসলাম বাবু।
বাংলাদেশ আইটি বিজনেস সামিট-২০২৪ অনুষ্ঠানে একটি প্যানেল ডিসকাশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।