themeswala
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/swadhin/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বিশেষ প্রতিনিধি:
দেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতে কর অবকাশ সুবিধা এ বছরও বলবৎ থাকার ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, কর অব্যাহতির বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন মেয়াদে ধারাবাহিক ও যৌক্তিকভাবে কর আরোপ অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তাবনাটি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এবার বাজেটে জানিয়ে দেয়া হবে কতদিন পর্যন্ত কর অব্যাহতি থাকতে পারে।
সোমবার বেসিস নব নির্বাচিত কার্য নির্বাহী কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সালমান এফ রহমান।
অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু), এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মোঃ মাহবুবুল আলম।
প্রধান অতিথির বক্তেব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন,আইসিটি খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি আছে। তবে এবার বাজেটে জানিয়ে দেয়া হবে কতদিন পর্যন্ত কর অব্যাহতি থাকতে পারে।
তিনি আরও বলেন, যেভাবে বা যে গতিতে বিশ্বের প্রযুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে তার সাথে তাল মেলাতে দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সে জন্য কী ধরণের পলিসি সাপোর্ট দরকার সে বিষয়ে আপনাদের সোচ্চার হতে হবে। কর অব্যাহতি গুরুত্বপূর্ণ হলেও আপনাদের নেক্সট লেভেলের জন্য কী ধরনের নীতি দরকার যে জন্য পরামর্শ দিতে হবে। এআই, ব্লক চেইন, বিগডাটাতে নজর দিতে হবে। কেননা, আগামীতে সবচেয়ে বেশি চাকরি হারাবে প্রোগ্রামার। তাই তাদের এখন নেক্সট লেভেলের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। বেসিস থেকে এ বিষয়ে সরকারকে গাইড করতে হবে।
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, ‘আমরা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতির বিষয়ে এনবিআর-এর মধ্যে একটি অংকের অসামঞ্জস্যতা লক্ষ্য করেছি। তাদের মতে তথ্যপ্রযুক্তি খাত ৫ হাজার কোটি টাকা প্রফিট করে এবং এই ইন্ডাস্ট্রির রেভিনিউ ৫০ হাজার কোটি টাকা। অথচ এই খাতের টোটাল টার্ন ওভার দুই হাজার কোটি টাকা। এই অসামঞ্জস্যতা দূর হলে আমরা মনে করি এই ইন্ডাস্ট্রির উপর কর আরোপ করতে আইএমএফও আগ্রহ হারাবে। এক্ষেত্রে আমরা এই খাতের সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে ২০৩১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতির দাবি করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আইসিটি হবে নিউক্লিয়াস। লোকাল মার্কেটে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে এই লক্ষ্য পৌঁছাতে এবং ৫ বিলিয়ন ডলার টার্গেটের দিকে এগোতে সরকারকে একটি পলিসির মাধ্যমে ২০৪১ সাল নাগাদ তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার টার্গেট নির্ধারণ করা উচিত বলে আমরা মনে করি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের যে সক্ষমতা আছে তা বিবেচনা করে যেন সরকারি এবং বেসরকারি ক্রয়ে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করা না হয়। যে ক্ষেত্রে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের উপর আমরা নির্ভরশীল এবং যেই টেকনোলজিতে আমরা তৈরি হচ্ছি সে ক্ষেত্রে যেন অবশ্যই একটি দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে লোকাল পার্টনার হিসেবে বাধ্যতামূলক করা হয়। এই দুইটা কাজ করলে একই সাথে যেমন আমাদের দক্ষ জনবল তৈরিতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট এবং লোকাল ইনভেস্টমেন্ট আগ্রহী হবে এবং দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) বলেন, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে সেটির প্রসারে সহায়তা করে এসেছি এবং আগামীতেও পাশে থাকবো। অবশ্যই বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত একদিন গার্মেন্টস খাতের মতোই বড় খাত হয়ে উঠবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন হয়েছে এবং আমি আশা করি সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পুরোপুরি পেপারলেস হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী এক বছরের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হবে-পুরোপুরি পেপারলেস। অর্থাৎ একটি কোম্পানি খুলতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকলেই ঘরে বসেই সব সনদ পাওয়া যাবে।
বাণিজ্য মন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন,বেসিসের কমিটিতে ৩ ভাগের অন্তত ১ভাগ নারী উদ্যোক্তা থাকা উচিত।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলছেন,বেসিসের ২৫০০ আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানে প্রায় তিন লক্ষ তরুণের কর্মসংস্থান তৈরি করেছে তা আমরা ১০ লাখে উন্নীত করতে চাই। বর্তমান সরকার দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমাদের এই খাতের রফতানি আয় ২০২৯ সাল নাগাদ ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চাই। আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি খাত বড় হচ্ছে পাশাপাশি সম্ভাবনাও বাড়ছে। আগামী ৩০জুন আইসিটি খাতে কর্পোরেট ট্যাক্স হলিডের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে।সম্ভাবনাময়ী এই আইসিটি খাতে আরো ৫ বছর কর অব্যাহতির অনুরোধ আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। এখন আমাদেরকে সফটওয়্যার তৈরির পাশাপাশি, স্টার্টআপ, মেশিন লার্নিং, ব্লকচেইন, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সির মত বিষয়গুলাতে তরুণদের দক্ষ করে তুলতে এবং প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতির দিকে দেশকে এগিয়ে নিতে আগ্রহী হতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ৮ মে ২০২৪ তারিখে বেসিসের ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১১ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ গঠন করা হয়।