themeswala
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/swadhin/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114নিজস্ব প্রতিবেদক:
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল বলেছেন, যেসব গ্রাহক ও ব্যবসায়ী ইভ্যালির কাছে টাকা পান, আমি আপনাদের কষ্টটা ফিল করি। আমি মনে করি, ইভ্যালিকে যদি বিজনেস করতে দেওয়া হয়, তাহলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনাদের সব দেনা পরিশোধ করব। আমি এটা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই বলছি। সেটা কীভাবে সম্ভব হবে তার সব উত্তর আমি দেব। জাতীয় নির্বাচনের পর একটি সংবাদ সম্মেলন করে গ্রাহক, ব্যবসায়ী ও মিডিয়ার সব প্রশ্নের উত্তর দেব।
তিনি বলেন, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে আমরা এ দেনা পরিশোধ করা শুরু করব। সেই অ্যামাউন্টটা কত হবে তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ইভ্যালির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘ফেসবুক লাইভ উইথ সিইও’ শীর্ষক লাইভ অনুষ্ঠানে এ প্রতিশ্রুতি দেন রাসেল।
লাইভে তিনি বলেন, অজস্র মানুষ ইভ্যালিকে ভালোবাসে বলেই আজ ইভ্যালি ফিরে আসতে পেরেছে। গুটিকয়েক মানুষ যারা ইভ্যালির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারাই ইভ্যালির বিরুদ্ধে নিজে বা অন্য কাউকে দিয়ে অপপ্রচার করায়। ইভ্যালিকে ব্যবসার সুযোগ দেওয়া হলে রাসেল বা ইভ্যালি যতটা উপকৃত হবে, তার চেয়ে বেশি লাভবান হবে এ দেশের জনগণ। যারা ইভ্যালিতে কেনাকাটা করে পণ্য পাননি এবং যারা ইভ্যালিতে পণ্য দিয়ে পেমেন্ট পাননি, তারাও উপকৃত হবে
ইভ্যালি নতুন অফার বাজারে নিয়ে এসেছে উল্লেখ করে রাসেল বলেন, আজকের ক্যাম্পেইনের উদ্দেশে এটা নয় যে আমি যা লাভ করব সেটা দিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করব। বরং আজকের লাভের টাকা দিয়ে অল্প কিছু গ্রাহককে অন্তত এ দেনা মুক্তি হতে চাই। এতে একটু চাপ কমবে আমার।
দেনা পরিশোধের প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে উল্লেখ ছিল আমাদের কাছে সাড়ে তিনশ কোটি টাকা পাওনা আছে। নিঃসন্দেহে এটা বড় একটি অ্যামাউন্ট। যদি আমরা স্মল স্কেলে চিন্তা করি। কিন্তু বৃহৎ স্কেলে চিন্তা করলে আজকের দিনে ইভ্যালি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ই-কমার্স। এই জনপ্রিয় ই-কমার্স হওয়ার কারণ এ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ী ও গ্রাহক। গ্রাহক কখনোই আমরা ধরে রাখতে পারতাম না, যদি মার্চেন্টরা স্পেশাল প্রাইস না দিতেন। এই ব্যবসায়ীরা যে বিশেষ মূল্য আমাদের দেন, সেখান থেকেই আমরা একটা প্রোফিট রেখে সেগুলো সেল করি। আপনাদের কাছে মনে হতে পারে, এত দেনা কিন্তু দেশের ৫ শতাংশ লোকও যদি ইভ্যালি থেকে তাদের পণ্য নেয় তাহলে এ দেনা পরিশোধ করা খুবই সহজ হবে।
এর আগে সম্প্রতি ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে গ্রাহকদের জন্য সাড়া জাগানো আয়োজন নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছিলেন রাসেল।
‘বিগ ব্যাং’ শিরোনামে পোস্টারের ক্যাপশনে তিনি লিখেছিলেন, দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় থাকা গ্রাহকদের দীর্ঘ সময়ের এ দূরত্ব ইভ্যালির ‘বিগ ব্যাং’ অফারের মাধ্যমে ঘোচাবেন তিনি। সেখানে ২৯ ডিসেম্বর ইতিহাস গড়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। তাই আজই হয়ত ‘বিগ ব্যাং’ ক্যাম্পেইনটি প্রকাশ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ডিসেম্বর কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে বের হন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মোহাম্মদ রাসেল। এর আগে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল এবং কোম্পানির চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।