নিজস্ব প্রতিবেদক: অবশেষে মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতার অনিশ্চিয়তা কাটছে। মাউশি মহাপরিচালক অবসরে যাওয়ায় যে সংকট কেটেছিলো তা দ্রুত সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন নতুন নিয়োগ পাওয়া মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
সোমবার এ তথ্য তিনি নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, মাত্র নিয়োগ পেয়েছি। এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব আমাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। দায়িত্ব পেলেই দ্রুতই কাজটি হয়ে যাবে।
জানা যায়, প্রতি মাসে এমপিও (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রায় ৯০০ কোটি টাকা। সম্প্রতি ডিজি না থাকায় এমপিওভুক্ত ৩ লাখ ৪২ হাজার ৮৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীর সময়মত বেতন-ভাতা পাওয়ায় শঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
শিক্ষামন্ত্রণালয় ও মাউশি সূত্র জানায়, বেতনের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সব কাগজপত্র পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সেটা পাস হয়ে আসার পর যাবে অ্যাকাউন্টস অফিসে। সেখান থেকে চেক বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা সাধারণত প্রতি মাসের তিন তারিখের মধ্যেই চেক ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। তবে এবার যেহেতু মহাপরিচালক নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যায় পড়েছি, নতুন ডিজি দুয়েকদিনের মধ্যে যোগ দিলে আশা করছি ৫-৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চেক ছাড় দিতে পারব।
প্রসঙ্গত, মাউশি মহাপরিচালক হিসেবে অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক গত ১১ জানুয়ারি অবসরে যান। ফলে সারাদেশের সাধারণ সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক পদটি শূন্য হয়। নিয়ম অনুযায়ী তার জায়গায় কলেজ ও প্রশাসন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল খবির রুটিন দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বা আর্থিক সংশ্লিষ্ট ফাইল অনুমোদনের ক্ষমতা না পাওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।