রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৩ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে, বললেন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা
/ ৩৫ Time View
Update : রবিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ন

বিশেষ প্রতিনিধি:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা। আজ রবিবার (৭ জানুয়ারি) ভোটের দিন সকাল থেকেই বিদেশি পর্যবেক্ষকরা ঘুরে দেখেছেন রাজধানীসহ কয়েকটি জেলার ভোটকেন্দ্র। এরপর ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু পরিবেশে হয়েছে বলে জানান তাঁরা। ভোটগ্রহণ শেষে ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলে রাশিয়া থেকে আসা পর্যবেক্ষকদল।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পর্যবেক্ষকরা বলেন, ‘ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ শেষে আমরা পর্যবেক্ষকরা এ বিষয়ে সার্বিকভাবে একমত হয়েছি, বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে। ভোটকেন্দ্রগুলোর পরিবেশ ও সার্বিক রাজনৈতিক পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ছিল।’

ফিলিস্তিনি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদলের প্রধান হিশাম কুহাইল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে।

নির্বাচন পরিচালনাকারীরাও ভালোভাবে প্রশিক্ষিত ছিলেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে আমরা মূল্যায়ন করতে আসিনি।’ তাঁরা কোনো ধরনের সহিংসতা লক্ষ করেননি বলেও জানান তিনি।

এ ছাড়া প্রেস ব্রিফিংয়ে ওআইসির নির্বাচন ইউনিটের প্রধান শেখ মোহাম্মদ বন্দর বলেন, ‘পর্যবেক্ষক হিসেবে সহিংসতার কোনো চিহ্ন আমাদের চোখে পড়েনি।

আমি অবাক হয়েছি, দোকানপাট বন্ধ কেন! সড়কে কোনো মানুষ দেখা যায়নি। শহর ছিল শান্ত।’

আরব ইলেকটোরাল ম্যানেজমেন্ট বডির সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা জানিয়ে ওআইসির নির্বাচন ইউনিটের প্রধান বলেন, ‘আমার দেশের পাশাপাশি আমি ওই সংগঠনেও প্রতিবেদন জমা দেব। যে কারণে এই আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’

তিনি আরো বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অভিজ্ঞতা বিনিময়।

আপনাদের অভিজ্ঞতা এবং আমি ও বাংলাদেশে আমার সহকর্মীরা আজকে যা দেখলাম, এই সফরে আমরা একে অপরের কাছ থেকে যা শিখলাম, এটা একটি পেশাগত সফর ছিল। নির্বাচনী পরিবেশ দেখে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা ভালো নির্বাচনী প্রক্রিয়া দেখেছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে শেখ মোহাম্মদ বন্দর বলেন, ‘আমি এখনো জানি না কত শতাংশ ভোট পড়েছে। সকালে যখন আমরা কেন্দ্র পরিদর্শন করি, তখন ভোটার উপস্থিতি খুবই কম ছিল। মানুষ আশা করছিল, উপস্থিতি বাড়বে। যদি বাধ্যবাধকতা না থাকে, আপনি কেন্দ্রে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং কেউ আপনাকে ভোট দিতে বাধ্য করতে পারে না। ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাদের দেশে কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। তাই এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারি না।’

 

সাংবাদিকরা ওআইসির নির্বাচন ইউনিটের প্রধানের কাছে কেন্দ্রে কম ভোটার উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘১৫ বা ১৬ শতাংশ ভোট পড়লে সেটা নির্বাচন আয়োজকদের জন্য বার্তা। এর কারণ রাজনীতিকরা বিশ্লেষণ করবেন।’

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page