রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া রোহিঙ্গারা পাবেন ঘর, কৃষিজমি ও সার-বীজ
Update : শনিবার, ৬ মে, ২০২৩, ১:১৭ অপরাহ্ন

বিশেষ প্রতিনিধি: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর আগে রাখাইন রাজ্যের পরিবেশ-পরিস্থিতি গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে দেখে মিয়ানমার ঘুরে এসেছেন ২০ রোহিঙ্গাসহ ২৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। মিয়ানমারের মংডো টাউনশিপ প্রশাসকের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, রোহিঙ্গারা ফেরত যাওয়ার পর প্রতি পরিবারকে মডেল ভিলেজে একটি করে ঘর, কৃষি কাজের জন্য জমি, সার ও বীজ দেওয়া হবে।

শুক্রবার সকালে কক্সবাজারের টেকনাফের ট্রানজিট জেটি ঘাট দিয়ে প্রতিনিধি দল মিয়ানমারের উদ্দেশে যাত্রা করে। এ দিনই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে একই পথে টেকনাফে ফিরে এসেছেন তাঁরা। কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে তিন নারীসহ ২০ জন রোহিঙ্গা, ছয়জন সরকারি কর্মকর্তা ও একজন অনুবাদক ছিলেন।


রাখাইনে যাওয়া রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলের প্রধান মোহাম্মদ ছলিম বলেন, ‘রাখাইনে ১৫টি গ্রাম পরিদর্শনের পাশাপাশি রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলকে রাখাইনে প্রত্যাবাসনের জন্য সহায়ক কী পরিমাণ অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে, তা দেখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে তারা প্রত্যাবাসনের আগে নাগরিকত্ব না দিয়ে এনবিসি কার্ড (অতিথি কার্ড) দিয়ে রোহিঙ্গাদের নিয়ে যেতে চায়। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বলেছে, সেখানে যাওয়ার ছয় মাস পর নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এর উত্তরে আমরা বলেছি, আগে নাগরিকত্ব দিয়ে প্রত্যাবাসন শুরু করতে হবে।’

প্রতিনিধি দলটি শুক্রবার দুপুরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ১৫টি গ্রাম ঘুরে দেখেছেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফের জেটি থেকে রওনা দেওয়া রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলটি নাফ নদ অতিক্রম করে রাখাইন রাজ্যের নাকফুরা খালের জেটিতে পৌঁছায়। সকাল সোয়া ১০টার দিকে নাকফুরা ঘাটে রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলের সদস্যদের স্বাগত জানান সেখানকার ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা।

নাকফুরা ঘাটে পৌঁছার পর বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্যদের গাড়িতে তুলে পাশের গ্রাম বলিবাজারে নেওয়া হয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলের সদস্যদের নাকফুরা, বলিবাজার, থায়াংখালী ও ঝিমংখালী গ্রাম ঘুরিয়ে সড়কপথে নেওয়া হয় মংডু শহরে।

দুপুর দেড়টার দিকে মংডু ট্রানজিট ক্যাম্পে দুপুরের খাওয়া শেষে দুই দেশের মধ্যে প্রত্যাবাসন ও যাচাই করা প্রত্যাবর্তনকারীর ব্যবস্থা-সম্পর্কিত বিষয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইমিগ্রেশন দলের মধ্যে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়। এরপর মংডুর পাশের গ্রাম কাহারীপাড়া, নুরুল্যাপাড়া, সিকদারপাড়াসহ আরও কয়েকটি গ্রাম দেখানো হয়। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য মংডুতে নির্মিত ট্রানজিট কেন্দ্রসহ নানা অবকাঠামোও ঘুরিয়ে দেখানো হয়েছে। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মংডু ট্রানজিট ঘাট থেকে রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলের সদস্যরা স্পিডবোটে চড়ে সোয়া ৫টায় টেকনাফে পৌঁছান।

গত ১৫ মার্চ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু থেকে মিয়ানমারের ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দল টেকনাফ এসে ১৭৭টি পরিবারের ৪৮০ জন রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই করেছিল। ওই তালিকা থেকেই ২০ সদস্যের রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দল গঠন করা হয়।

প্রতিনিধি দলে রোহিঙ্গাদের মধ্যে টেকনাফের লেদা, নয়াপাড়া ও জাদিমুড়া এলাকায় অবস্থিত ২৪, ২৬ ও ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের নেতারা ছিলেন।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page