রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫০ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশের অবকাঠামোগত খরচ ইউরোপের চেয়ে বেশি:স্থানীয় সরকার, পল্লী ও উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী
/ ৬৪ Time View
Update : বুধবার, ২২ মে, ২০২৪, ৪:৪৪ অপরাহ্ন

বিশেষ প্রতিনিধি:

স্থানীয় সরকার, পল্লী ও উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন,বাংলাদেশের অবকাঠামোগত খরচ ইউরোপ এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি।

তিনি বলেন,প্রথম যখন মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলাম, তখন চিন্তা করেছিলাম কিভাবে দেশের প্রান্তিক অঞ্চলের অবকাঠামোকে টেকসই করা যায়৷ আজকে গ্রামীণ অবকাঠামো প্রায় ৩০ শতাংশ তৈরি হয়ে গেছে।

বুধবার (২২ মে) স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজনে এবং বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত ‘রিজিলিয়েন্ট রুরাল ট্রান্সপোর্ট এসেট্ ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন৷

মন্ত্রী তাইজুল ইসলাম বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি। কয়েক দশক ধরেই জলবায়ু পরিবর্তন একটি গ্লোবাল চ্যালেঞ্জে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশে এর প্রভাবও অনেক বেশি৷ যখন কোনো বিপর্যয় দেখা যায়, তখন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় অবকাঠামো বিশেষ করে গ্রামীণ রাস্তাঘাট। স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর এই ক্ষতির হার কমাতে কাজ করে যাচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, প্রশ্ন উঠেছে সড়ক ও অবকাঠামো কতটা টেকসই তা নিয়ে। কারণ আমরা একটি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। আমাদের জমি জলাভূমি, যা উন্নয়ন করে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই অবকাঠামোর জন্য এটি আমাদের চ্যালেঞ্জ। আমাদের অবকাঠামোগত খরচ ইউরোপ এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। যেহেতু আমরা আমাদের রাস্তার অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ করতে যাচ্ছি, আমাদের প্রথমে মাটির শক্তি নিশ্চিত করতে হবে। এটি আমাদের অবকাঠামোগত খরচ বাড়ায়।

আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ প্রদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক, এডিবি বা অন্য যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান আছে তারা মূলত সেসব সেক্টরেই ঋণ দেয়, যেসব সেক্টর প্রদেয় ঋণ উত্তোলন করা যায়। একসময় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ প্রদানে অনাগ্রহ প্রকাশ করতো, বর্তমানে এই দৃশ্যপট আর নেই। বাংলাদেশ ধাপে ধাপে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে এখন আর ঋণ দিতে ভয় পায় না৷ বাংলাদেশ আজ ৩৩তম অর্থনৈতিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, যদি রাস্তা তৈরি করার পর ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে যায় তাহলে সেটি সঠিক নীতি হবে না। তাই আমাদের টেকসই নির্মাণ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। আগে দেড় বছরে এলজিইডির নির্মিত সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হতো। তাই আমি প্রকৌশলীদের সঙ্গে বসেছি এবং অন্তত পাঁচ বছর রাস্তা টিকিয়ে রাখার উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। রাস্তা নির্মাণের সময় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী মো. আলি আকতার হোসেন এর সভাপতিত্বে উক্ত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ট্রান্সপোর্ট স্পেশালিস্ট নাতালিয়া স্ট্যাংকভিচসহ প্রমুখ।

 

 

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page