বিশেষ প্রতিনিধি:
ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স বাংলাদেশে আয়োজন করার মাধ্যমে আঞ্চলিক রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ভারত মহাসাগরীয় উপকূলবর্তী দেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশের অংশীদারত্ব সুদৃঢ় হয়েছে।
পরিবর্তনশীল ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ- অর্থনৈতিক বাস্তবতার নিরিখে এই সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশেষ অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুসংহত হয়েছে বলে জানান তিনি।
শনিবার (১৩ মে) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স আয়োজন শেষে এই প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
এতে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেন জানান, সম্মেলনে ১৭টি দেশের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী যোগ দিয়েছেন।
এতে ৪০ দেশের প্রতিনিধি ১৫৫ জন বিদেশি অতিথি অংশ নেন। সম্মেলন ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে হলেও সামগ্রিকভাবে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সম্মেলনে সমুদ্র নিরাপত্তা, বাণিজ্য, সামুদ্রিক সম্পদে জোর দেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সম্মেলনে আমার অনেকের সাথে সাক্ষাৎ করার সুযোগ হয়নি। তবে ফোনে আলাপ হয়েছে। এ জন্য আমি মনোকষ্টে আছি।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, সম্মেলনে চীনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। চীনা থিংক ট্যাংককেও আমন্ত্রণ করা হয়েছে। এখানে চীনা দূতাবাসের দুজন ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ এই রিজিয়নে শান্তি বজায় রাখতে চায়। এখানে অংশগ্রহণকারী সকলেই এটা চায়। এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটা একটি শুভ সূচনা হলো। সপ্তম ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স অস্ট্রেলিয়ায় হবে বলে জানান তিনি।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।
ঢাকায় ১২ ও ১৩ মে দুই দিনব্যাপী ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। ১২ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এই কনফারেন্স উদ্বোধন করেন।