রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১০ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
বাংলা ও বাঙালীর প্রতি অক্ষয় ভালোবাসাই বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিকে অর্থবহ করে তুলেছিল:স্পীকার 
/ ৬১ Time View
Update : সোমবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৩, ৩:০৮ অপরাহ্ন

বিশেষ প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, দু:খী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল দর্শন। বঙ্গবন্ধুর ছিল এদেশের প্রতি গভীর দেশপ্রেম ও বাঙালির প্রতি অসীম ভালোবাসা। স্পীকার বলেন, বাংলা ও বাঙালীর প্রতি অক্ষয় ভালোবাসাই বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিকে অর্থবহ করে তুলেছিল।

তিনি আজ রাজধানীস্থ ঢাকা ক্লাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত ‘তোমার স্মরণে নমিত পতাকা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।

ঢাকা ক্লাব লিমিটেডের সভাপতি আশরাফুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে বিশিষ্ট কবি কামাল চৌধুরী এবং সম্মানিত আলোচক হিসেবে বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন বক্তব্য প্রদান করেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনসি এমপি এবং সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বক্তব্য প্রদান করেন।

স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেন, বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠায় আপোষহীন নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু, যিনি ফাঁসির মঞ্চে দাড়িয়েও নিজ আদর্শে অবিচল থেকেছেন। ‘আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, আমি এদেশের মানুষের অধিকার চাই’ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্ধৃতি উল্লেখ করে স্পীকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সাড়া দিয়েই বাংলার আপামর জনগণ এক হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে।

স্পীকার বলেন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরের দিন বঙ্গবন্ধু সংবিধান রচনার কাজ হাতে নিয়েছিলেন এবং নয় মাসের মধ্যে বাঙালীকে তাদের নিজস্ব সংবিধান দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, মুজিব মানেই মুক্তি, মুজিব মানেই স্বাধীনতা।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বনেতা, বঞ্চিত মানুষের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর। তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কুসংস্কার ও ধর্মান্ধতামুক্ত বাঙালী

জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। স্পীকার বলেন, যতদিন বাংলা ও বাঙালী থাকবে, ততদিন কোটি বাঙালীর হৃদয়ে প্রোথিত থাকবে বঙ্গবন্ধুর নাম।

বঙ্গবন্ধুর স্মরণে এ অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর এমপি, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আশরাফুল আলম, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠ সৈনিক ও দেশ বরেণ্য শিল্পী রফিকুল আলমসহ অন্যান্য শিল্পীরা কবিতা আবৃত্তি ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন।

এসময় স্পীকার এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ঢাকা ক্লাবকে ধন্যবাদ জানান। এ আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

ঢাকা ক্লাবের সংসদবৃন্দসহ এ অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page