
বিশেষ প্রতিনিধি:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকল্প নেই উল্লেখ করে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বিগত সরকারগুলোর তুলনায় বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার একটু ধীরে হলে প্রগতির পথে ন্যায়বিচারের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এই সরকারের বিকল্প সরকার তা করতে পারবে না। আমি আমার ব্যক্তিগত কাজের অভিজ্ঞতা থেকেই তা বলছি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি ও জমির অধিকার’ শীর্ষক আঞ্চলিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েসন ফর ল্যান্ড রিফ্রম অ্যান্ড ডেপলমমেন্ট (এএলআরডি) সমন্বয়ক খুশি কবির।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘ভূমির মালিকানা নিয়ে হাজার বছর ধরে যে অন্যায় ঘটছে তা এখনো বন্ধ করা যায়নি। বর্তমান সরকার ভূমি আইন সংস্কার ও ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করলেও তা জমির বিরোধ নিষ্পত্তি পুরোপুরি সহজ করা যায়নি। ব্রিটিশরা জমির এক অদ্ভুত বৈষম্যমূলক বণ্টন চালু করে গেছে।
যা পরবর্তীতে কোনো সরকারই সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি। বর্তমান সরকার সংস্কারে বিশ্বাস করে। শুধু ভূমি আইন নয় বরং অনেক ক্ষেত্রেই সংস্কার করা হয়েছে। যার উদ্যোগ আগে কেউ নেয়নি।
তিনি আরো বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিশ্বব্যাপী দৃশ্যমান। বাংলাদেশের ৫০ শতাংশের বেশি মানুষের জীবনজীবিকা ভূমির সাথে সংশ্লিষ্ট। বর্তমান সরকার ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করার পাশাপাশি ভূমি সংস্কারে আইন পরিবর্তন, নতুন আইন প্রণয়নসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু ভূমি নিয়ে যে সমস্যা চলমান আছে তা থেকে বের হওয়া খুবই কঠিন। ভূমি অপরাধ নিরসনে সরকার ও বেসরকারি সংস্থাকে এক সাথে কাজ করতে হবে।
এর আগে সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্যে এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন, ‘এই সম্মেলনটি কোনো একাডেমিক অনুশীলন নয়, বরং এটি দেশের সরকারের প্রতি একটি বাস্তবসম্মত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান। যারা নিরাপদ ভূমির অধিকার থেকে বঞ্চিত, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যারা বাড়িঘর, জীবিকার উৎস হারিয়ে দারিদ্রের প্রান্তিকতায় দাঁড়িয়ে তাদের প্রতি আরো মানবিক হওয়ার জন্য আমরা ঝুঁকিপূর্ণ সকল দেশগুলোর সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে খুশি কবির বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন একটি বাস্তবতা। আমরা যত আন্তর্জাতিক সম্মেলন, চুক্তি ইত্যাদি দেখছি, কিন্তু সত্যিকারের কোনো সমাধান আমরা দেখতে পাচ্ছি না। সব যেন কাগজপত্রেই সীমাবদ্ধ। যে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে তা কি আদৌ বাস্তবায়িত হচ্ছে? বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র বিশেষ করে উন্নত রাষ্ট্র যত প্রতিশ্রুতিই দিক না কেন জলবায়ু পরিবর্তনে তাদের যে উদ্যোগ যথেষ্ট নয়।’
সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন জলবায়ু পরিবর্তন প্রেক্ষাপটে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষা বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়ান ফ্রাই, এশিয়ান এনজিও কলিশন (এনগক) এর নির্বাহী পরিচালক নাথানিয়েল ডন মার্কেজ প্রমুখ।