বিশেষ প্রতিনিধি:
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় যেগুলো হচ্ছে, সেগুলো কেনো শুরুতেই আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্সগুলো করছে? সেই জেলায় ইতোমধ্যে যেসব সরকারি কলেজ আছে তাদের আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্সগুলো মনিটরিং করুক। আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্সগুলো মনিটরিং করবে এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা করে করবে।
শুরুটা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে তো একটা চ্যালেজিং টাইম।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন একটি ফুল সেটআপ নিয়ে সেখান থেকে আমরা রিসার্স ডেভেলাপম্যান্ট করুক।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সাথে মতবিনিময়ের সময় এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন সমস্ত কলেজ বা শতবর্ষী কলেজগলোকে রেসপেক্টিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনস্ত করে একাডেমিক মনিটরিং নিশ্চিত করতে। এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে তিনি সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের পরামর্শ দেন।
মন্ত্রী বলেন ওপেন ইউনিভার্সিটি সারাদেশের নল ফরমাল এডুকেশনের অ্যকাডিমক মনিটরিংয়ের কাজটা করছে, তাহলে কেনো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম কলেজর অ্যাকাডেমিক মনিটরিংয়ের কাজ করতে পারবে না। এক সময় তো করতো। পূর্বে যদি করার ক্যাপাসিটি থেকে থাকে তাহলে এখন তো সিস্টেম আরও বাড়ার কথা। মন্ত্রী আরো বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই উদ্যোগ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত কলেজকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। সেখানেও হয়ত চ্যালেঞ্জ আছে। সেই চ্যালেঞ্জটা তো আমরা অতিক্রম করছি। শিক্ষার্থীরা রাস্তা বন্ধ করেছে। কিন্তু আমরা নড়িনি।
৭ কলেজের মান ইম্প্রুভ হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যদি অ্যাকাডেমিক স্ট্যান্ডার্ড মনিটরিংয়ে কাজ করতে পারে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কেনো করতে পারবে না।
এসব ক্ষেত্রে আইন সংশোধন করতে হলে মন্ত্রণালয় তা করবে বলে তিনি ইংগিত দেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা তুলে ধরে শিক্ষান্ত্রী বলেন, সে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় জেলা পর্যায়ে আছে, সে সমস্ত জেলাগুলোয় যে সরকারি কলেজগুলো আছে, তাদের অ্যা্ক্যাডেমি মনিটরিংয়ের কাজটা করবে