সিনিয়র রিপোর্টার:
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদীতে আগামীকাল বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাত মন্ত্রী, চার সচিব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা অন্দোলনে শিক্ষার্থীদের যে ডিমান্ড ছিল, তার সব মেনে নেওয়ার পরও সহিংসতা থামেনি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা কারফিউ জারি করেছিলাম। আমরা সারা দেশের শান্তিশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা করেছি৷ সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। আগামী বুধবার থেকে শনিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এছাড়া কবে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে সেটি শিক্ষামন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন। টেকনিক্যাল বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন যে, কবে থেকে পরিপূর্ণভাবে ইন্টারনেট চালু হবে।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কারফিউ, জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ ও কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনায় বসেন সাত মন্ত্রী, চার সচিব এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, পররাষ্ট্র সচিব, বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও জননিরাপত্তা বিভাগের দুই সচিব, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং র্যাব, বিজিবি ও আনসার প্রধানসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।
দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঢাকা মহানগর, ঢাকা জেলা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদী এই চার জেলার ক্ষেত্রে এই শিথিলতা কার্যকর হবে। বাকি জেলাগুলোতে স্থানীয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে।
সবাই যাতে কারফিউ মেনে চলেন সেই অনুরোধও জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে, তারা যেন কারফিউ মেনে চলেন। যত তাড়াতাড়ি নিরাপত্তা বাহিনী স্বাভাবিক অবস্থা ঘোষণা করতে পারবে, ততো তাড়াতাড়ি আমাদের দেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারব।