Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the themeswala domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/swadhin/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
ঐতিহ্যবাহী নদী ও বিল দখল রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে:পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান  ঐতিহ্যবাহী নদী ও বিল দখল রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে:পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান  – স্বাধীনতা টিভি বাংলা
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

ঐতিহ্যবাহী নদী ও বিল দখল রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে:পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান 

প্রতিবেদকের নামঃ

সিনিয়র রিপোর্টার :

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জাতীয় ঐতিহ্যবাহী বিল ও নদীসমূহের অবৈধ দখল রোধে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর অংশ হিসেবে আড়িয়াল, চলন, বেলাই ও বসিলা বিলের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। তিনি বলেন, এলক্ষ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টাসহ আগামী সপ্তাহে আড়িয়াল বিল পরিদর্শন করা হবে। হাওর ও বিল সংরক্ষণে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ফসলের ক্ষতি কমাতে হাওর এলাকায় যথাসময়ে বাঁধ মেরামত করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

আজ রবিবার বিকেলে বাংলাদেশ সচিবালয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে পানিসম্পদ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

পানিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, মানুষের পানির অধিকার নিশ্চিত করতে নদীদূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। বড়াল, পিয়াইন, ডাউকি, সোমেশ্বরী, বালু, বুড়িগঙ্গা, মগড়া এবং করতোয়াসহ সংকটাপন্ন নদীর তালিকা প্রস্তুত করে সেখান থেকে ক্ষতিকর স্থাপনা সরিয়ে দিতে হবে। নদীর বালু এবং পাথর উত্তোলনকে নিয়ন্ত্রিত বা নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় সুপারিশমালা তৈরি করতে হবে। নদী ভাঙন রোধে প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে এবং ভাঙন কবলিত লোকদের খাস জমিতে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক নদীগুলোতে দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করা হবে।

পানিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, মানুষের সাথে আলোচনা করে কম ব্যয়ের অত্যাবশ্যক প্রকল্প গ্রহণ পূর্বক বাস্তবায়ন করতে হবে। কোনও উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে নদী যেনো মারা না যায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।১৯৯৯ সালের জাতীয় পানি নীতিমালা বাতিল করে যুগোপযোগী পানি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে, যেখানে জনমতের প্রতিফলন ঘটাতে হবে। নদীকে জীবন্ত সত্তা বিবেচনা করে নদী রক্ষা কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সাথে আলোচনা করে নদীর প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ করতে হবে। সেখানে নদীর আঞ্চলিক ও স্থানীয় নামেরও স্বীকৃতি দিতে হবে, যাতে কোন নদী শাখা নদী বা উপনদী বিবেচনায় হারিয়ে না যায়।

সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, কোনও কর্মকর্তা কর্তব্য পালনকালে কোনও প্রকার দুর্নীতি, অনিয়ম ও অবহেলা প্রদর্শন করলে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সুশাসন ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠায় মানুষের তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কাজে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে হবে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ এবং অধীন দপ্তর সমূহের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সমস্যা, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জসমূহ শোনেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/swadhin/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page