বিশেষ প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, অপরাজিতারা নারীর ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সংগ্রামী পথচলাই অপরাজিতাদের সফলতার চাবিকাঠি। তিনি বলেন, অপরাজিতারা তৃণমূল পর্যায়ের নারীর ক্ষমতায়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
তিনি আজ রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অপরাজিতা নেটওয়ার্কের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জাতীয় অপরাজিতা সম্মেলন’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।
বাগেরহাট জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট জেলা অপরাজিতা নেটওয়ার্কের সভাপতি শরীফা খানমের সভাপতিত্বে খান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট রোকসানা খন্দকারের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন দিনাজপুর জেলা অপরাজিতা নেটওয়ার্কের সদস্য জেসমিন আক্তার রিভা এবং হেলভেটাস বাংলাদেশের প্রকল্প পরিচালক প্রশান্ত ত্রিপুরা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর এমপি, আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী এমপি, আরমা দত্ত এমপি, নাছিমা জামান ববি এমপি এবং সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেঙ্গলি। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ঝালকাঠির উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও বরিশাল বিভাগীয় অপরাজিতা নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক ইসরাত জাহান সোনালী।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের এগিয়ে নিতে কার্যকর আইনগত মডেল ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নারীদের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন প্রনোদনা দেয়া হচ্ছে যেন ডিজিটাল সুযোগ প্রাপ্তিতে কোন ধরনের বৈষম্য তৈরি না হয়।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭২ এর সংবিধানে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের বিধান রেখেছিলেন। সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫০ এ বৃদ্ধি করেছেন। তিনি বলেন নারীরা সরাসরি নির্বাচন এবং সংরক্ষিত আসনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য হতে পারেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেন, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। তাই এদেশে মহিলা ভোটারের সংখ্যাও বেশি। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে যা ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য নারীদের জনগণের আস্থা অর্জনের লক্ষ্যে তাদের সেবায় কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, নারীর সহজাত বৃত্তির মাধ্যমেই নারীর ক্ষমতায়ন বিকশিত হয়। এভাবেই নারীরা ঘরে বাইরে দুই জায়গাতেই দক্ষতার সাথে কাজ করছেন।
স্পীকার বলেন, অপরাজিতা নেটওয়ার্ক ৯০০০ নারীর একটি সমন্বিত প্লাটফর্ম। একসাথে কাজ করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ঐক্য বজায় রেখে এই নেটওয়ার্ককে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে এই নেটওয়ার্ক নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে- যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
এসময় ১৬ জেলার ১৬ জন নারীকে অগ্রগামী অপরাজিতা হিসেবে এবং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের পথিকৃৎ অপরাজিতা হিসেবে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
জাতীয় অপরাজিতা সম্মেলনে দেশের ১৬টি জেলার ৩০০ জন অপরাজিতা, বিশিষ্ট নারী নেতৃবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।