themeswala
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/swadhin/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114নিজস্ব প্রতিবেদক: চরম নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে শেষ হলো ঢাকা টেস্ট। তাসকিন আহমেদ পরপর দুই বলে পাঁচ উইকেট পাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি করেও ব্যর্থ হলেন। এরপর তার শর্ট বলে আহত হয়ে জহির খান রিটায়ার্ড হার্ট হতেই জয়ের আনন্দে মেতে ওঠে বাংলাদেশ। ৫৪৬ রানের এই জয় বাংলাদেশের তো বটেই, রানের হিসেবে টেস্ট ইতিহাসেরই তৃতীয় বৃহত্তম জয়।
১৯২৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬৭৫ রানে জিতেছিল ইংল্যান্ড। এরপর ১৯৩৪ সালে ইংল্যান্ডকে ৫৬২ রানে হারায় অস্ট্রেলিয়া। আর ২০০৫ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৪৬ রানের জয়টাই ছিল রানের হিসেবে এত দিন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ।
২ উইকেটে ৪৫ রান নিয়ে আজ শনিবার ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিন শুরু করেছিল আফগানিস্তান।
তৃতীয় ওভারেই এবাদত হোসেন সাফল্য উপহার দেন। তার বলে লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি হন নাসির জামাল (৬)। এরপর মঞ্চে শরীফুলের আবির্ভাব। তার বলে মেহেদি মিরাজের হাতে ধরা পড়েন আফসার জাজাই (৬)।
এভাবেই নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে আফগানিস্তান। বাহির শাহ (৭) শরীফুলের তৃতীয় শিকারে পরিণত হলে ২০.৫ ওভারে ৭৮ রানে তারা পাঁচ উইকেট হারায়। আফগানদের ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটান তাসকিন আহমেদ।
অনেকটা সময় উইকেট আগলে রাখা রহমত শাহ (৩০) ক্যাচ তুলে দেন লিটন দাসের গ্লাভসে। ফিরতি ওভারে এসেই করিম জানাতকে (১৮) বোল্ড করে দেন তাসকিন।
পেসারদের দাপটের পর মেহেদি মিরাজকে আক্রমণে আনেন অধিনায়ক লিটন। মিরাজ তার দ্বিতীয় ওভারেই তুলে নেন আমির হামজাকে (৫)। ক্যাচের আবেদনে আম্পায়ার প্রথমে সাড়া না দিলে রিভিউ নিয়ে জয়ী হয় বাংলাদেশ। খেলা শেষের প্রত্যাশায় মধ্যহ্ণ বিরতি আধঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয়। ইয়েমিন আহমেদজাইকে (১) মুশফিকের তালুবন্দি করে চতুর্থ শিকার ধরেন তাসকিন।
পরের বলেই জহির খানকে আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। রিভিউতে দেখা যায় বল ব্যাট স্পর্শ করেনি। অবশ্য ততক্ষণে পাঁচ উইকেট শিকারের উদযাপন করে ফেলেছিলেন তাসকিন। পরের বলে আবারও তাকে হতাশ হতে হয়। তৃতীয় বলেই দুর্দান্ত এক ফুলটসে জহির খানের (৪) স্টাম্প ছত্রখান করেছিলেন তাসকিন। কিন্তু সেটাকে নো বল ডাকেন আম্পায়ার। ওভারের শেষ বলটি ছিল শর্ট বল। যেটি গিয়ে জহিরের কনুইয়ে লাগে। তিনি আর ব্যাটিং করার অবস্থায় ছিলেন না। তাই ৯ উইকেটে ১১৫ রানেই শেষ হয় আগানিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস। বাংলাদেশ পায় ৫৪৬ রানের বিশাল জয়। ৯ ওভার বল করে ২ মেডেনসহ ৩৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। ২৮ রানে ৩টি নিয়েছেন শরীফুল ইসলাম। এ ছাড়া ১টি করে নিয়েছেন ইবাদত হোসেন আর মেহেদি মিরাজ।