themeswala
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/swadhin/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114নিজস্ব প্রতিবেদক: আফগানদের কাছে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ হারের স্বাদও পেল বাংলাদেশ। সিরিজ বাঁচানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শুরু থেকেই এলোমেলো এক বাংলাদেশের দেখা মিলছিল। ইবাদত হোসেন, হাসান মাহমুদরা বোলিংয়ে ছিলেন ছন্নছাড়া। আফগানিস্তানের ইনিংসের ৩৩১ রানের মধ্যে অতিরিক্ত থেকে ৩৩ রান দিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। বোলারদের পথ অনুসরণ করেছেন ব্যাটাররাও। যার ফল, দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানদের বিপক্ষে ১৪১ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে আফগানদের বিপক্ষে রানের ব্যবধানে এটিই সবচেয়ে বড় পরাজয় বাংলাদেশের।
টানা দুই ম্যাচ হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও হারল বাংলাদেশ। আগেই বলা হয়েছে, এই প্রথম আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ হারল বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাটিং করে ৩৩১ রানের বড় স্কোর দাঁড় করায় আফগানিস্তান। তাড়া করতে নেমে আসা-যাওয়ার মিছিলে শামিল হন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়ের শুরু অধিনায়ক লিটন দাসকে দিয়ে। ১৫ বলে ১৩ রানে ফজল হক ফারুকির বলে মোহাম্মদ নবীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন।
এরপর একে একে নাজমুল হোসেন শান্ত (১), মোহাম্মদ নাঈম (৯), তৌহিদ হৃদয় (১৬), সাকিব আল হাসান (২৫), আফিফ হোসেন (০) ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন। ফারুকি, রশিদ খান, মুজিব উর রহমানদের বোলিংয়ের কোনো উত্তরই খুঁজে পাননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। একপর্যায়ে ৭২ রানে ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকেরা। সপ্তম উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম।
তবে তাঁদের এই প্রতিরোধ ম্যাচে লড়াই জমিয়ে তোলার জন্য যথেষ্ট ছিল না। ৭২ রান থেকে দলীয় স্কোর ১৫৯ পর্যন্ত নিয়ে যান মিরাজ ও মুশফিক। ৪৮ বলে ২৫ রান করা মিরাজ মুজিবকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে রহমত শাহর হাতে ক্যাচ দেন। একপ্রান্তে নিঃস্ব লড়াই চালানো মুশফিক শেষ ব্যাটার হিসেবে ফারুকির বলে ৬৯ রানে আউট হয়েছেন।
টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার কারণ হিসেবে অধিনায়ক লিটন দাস বলছিলেন, উইকেট প্রথম ওয়ানডের মতো। এমন উইকেটে তাঁর দল রান তাড়া করতে চায়। লিটনের ধারণা অবশ্য ঠিক হয়নি। প্রথম ওয়ানডেতে বল হঠাৎ থেমে থেমে এসেছিল। তবে আজ উইকেটের আচরণ সম্পূর্ণ ভিন্ন।
দুর্দান্ত ব্যাটিং উইকেট কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের বোলারদের তুলাধোনা করেছেন আফগান ব্যাটাররা। বিশেষ করে দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। ইনিংসের শেষ দিকে অবশ্য আফগানদের রান বন্যায় বাঁধ দিয়েছে বাংলাদেশ। তবু আফগানিস্তানের স্কোর থেমেছে ৩৩১ রানে। চট্টগ্রামে কখনো ৩০০ রানের স্কোর তাড়া করে জেতেনি বাংলাদেশ। আজও সেটির ব্যতিক্রম হয়নি। ৩ ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে হেরেই গেছে, এখন বাংলাদেশের সামনে ধবলধোলাইয়ের চোখ রাঙানি।