সিনিয়র রিপোর্টার:
ঢাকার সাভারে সেলফি পরিবহনের একটি বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় এপিবিএনের নারী কনস্টেবল নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাতে নওগাঁর মহাদেবপুর থানার পুকুর চান্দাশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে কামরুল ইসলাম নামে ওই বাসচালককে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি একই থানার মহিষাখাল গ্রামের দায়েম উদ্দিনের ছেলে।
এর আগে, গত ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় বেপরোয়া বাসচাপায় নিহত হন নারী কনস্টেবল আফসানা আক্তার। তিনি উত্তরা ১১ ব্যাটালিয়ন এপিবিএনে কর্মরত ছিলেন। একই ঘটনায় আফসানার স্বামীও গুরুতর আহত হন।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কুদরত-ই-খুদা।
তিনি জানান, কনস্টেবল আফসানা রাজধানীর উত্তরা ১১ নম্বরে এপিবিএনে কর্মরত ছিলেন। তিনি ডিউটি শেষে উত্তরা থেকে স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে চড়ে বোনের বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। পথে সাভারের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সেলফি পরিবহনের একটি দ্রুতগতির বাস পেছন থেকে তাদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। সেসময় আফসানা সড়কে ছিটকে পড়লে বাসটি তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় তার স্বামীও আহত হন। পরে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ তদন্ত করে। পাশাপাশি পিবিআই ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরপর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বাসচালক কামরুলকে মহাদেবপুর থানার হাজরা পুকুর চান্দাশ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পিবিআই পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পরপরই বাসচালক কামরুল একটি পিকআপে করে পালিয়ে যান। তাকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে অভিযান চালালেও তিনি বগুড়ায় সটকে পড়েন। এরপর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চান্দাশ এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মো. কুদরত-ই-খুদা বলেন, অভিযুক্ত বাসচালক কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।