রফিকুল ইসলাম রফিক, কুড়িগ্রাম জেলা:
জেলা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে, শীতের তীব্রতা বাড়ায় শপিংমল ও ছোট বড় দোকানগুলোতে, গরম কাপড় কেনার ভির পড়েছে। চারদিন আগে কাপড়ের দোকানগুলো ফাঁকা ছিল বিক্রি একেবারেই ছিল না । আর একন ক্রেতাদের ভিড়ে দম ফেলার সময় নেই তাদের। এ মৌসুমে ব্যবসার ভালো আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে কাপড়ের দরদামে খুশি নন ক্রেতারা। গত মৌসুমের তুলনায় এ মৌসুমে কাপড়ের দাম দ্বিগুণ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ক্রেতারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুড়িগ্রামের পৌর মার্কেট সহ জেলা উপজেলায় কয়েকটি মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। তিনদিন ধরে শীতের তীব্রতা বাড়ায় শীত নিবারণের জন্য শহরের উচ্চবিত্ত মানুষগুলো শপিংমলে ছুটলেও নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতে। গ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষ ফুটপাতের দোকানগুলোতে । সাধ্যমত তারা কিনছেন গরম কাপড়।
গরম কাপড় কিনতে আসা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এত শীত বাহে কাজ কামো নাই । নয়া কাপড় কিনি কীভাবে? বুরে জ্যাকেট ৩৫০ টাকা কিনলাম । গত বছরের তুলনায় এ বছর কাপড়ের দাম বেশি। অথচ আগে এই জ্যাকেট ছিল ১৫০-২০০ টাকা।
পুরোনো কাপড় ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলাম ও রাসেদ বলেন, ক্রেতাদের কাছ থেকে আমরা দাম বেশি নিই না। গত বছর এক বেল্ট কাপড়ের দাম ছিল ১২/১৩ হাজার টাকা আর এখন এক বেল্ট কিনতে হচ্ছে ১৮/১৯ হাজার টাকায়।
উলিপুর কাপড়ের হাজী মার্কেটের লিটন রহমান বলেন দুই দিন আগেও বেচা কেনা ছিল না, কর্মচারীদের বেতন দিতে পারিনাই গতকাল থেকে ব্যবসা ভালো হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মোঃ আব্দুল আজিজ বলেন, বাজারে গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। গত তিনদিন আগেও এই কাপড়ের দোকান ছিল ক্রেতাশূন্য। এখন ক্রেতাদের উপস্থিতি বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা ভালো বিক্রি করতে পারবে আশা করছি ।