মোঃ নাসির উদ্দিন, গাজীপুর জেলা:
গাজীপুরের কালীগঞ্জে ৫ পুলিশকে কুপিয়ে আহত করে ওয়্যারলেস সেট ছিনিয়ে নিয়ে আসামী পালিয়ে যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশের কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি। এক পুলিশেল অবস্থা আশঙ্খাজনক। থানায় মামলা দায়ের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে ১২(১২)২৩ নং মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী আরিফকে গ্রেপ্তার করতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাব্বির হায়দার শুভর নেতৃত্বে মোক্তারপুরের ডেমরা এলাকায় আরিফ বাড়ীতে যায়। সে সময় আরিফকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশকে বাঁধা দেয় তাঁর পরিবারের সদস্যরা। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি বাঁধে এবং এসআই সাব্বিরের সঙ্গে থাকা ওয়্যারলেস সেট ছিনিয়ে নেয় আসামী আরিফ। ওয়্যারলেস সেট ফিরিয়ে দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বললে আরিফসহ তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে এসআই সাব্বির হায়দার শুভ ও এএসআই সুলতান মাহমুদ আহত হয়। সংবাদ পেয়ে এসআই শামীম আল মামুন-১ সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সে সময় পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এ সময় পুলিশ কনস্টেবল নাইমুর রহমান গুরুতর আহত হয়। এছাড়াও হামলায় এসআই সাব্বির হায়দার শুভ, এসআই শামীম আল মামুন এবং এএসআই সুলতান মাহমুদ আহত হয়েছে। সে সময় আরিফ পালিয়ে গেলেও তার মা ফাতেমা বেগম (৫০) ও বোন হাফসাকে (১৮) আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে পুলিশ বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় ১৪(১২)২৩ নং মামলা দায়ের করেন।
কালীগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইউনুস কবির বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত দেড়টার দিকে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। সে সময় তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) সাব্বির হায়দার শুভ বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত কালীগঞ্জ থানার ১২ (১২) ২৩ নং মামলার আসামী আটক করতে যাই। ঐ সময় আসামী আরিফ আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে। পরে থানায় খবর দিলে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব চক্রবর্তী বলেন, আহত পুলিশ কনস্টেবল নাইমুর রহমানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় ৫ জনের নামে মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ পযর্ন্ত দুইজন আসামী গ্রেফতার করেছে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য : এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর কালীগঞ্জে দুই পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে আহত করে আমান আলী (৪০) ওরফে আমান উল্লাহ নামে মামলার এক আসামী হাতকড়া নিয়ে পালিয়ে যায়।