অনলাইন ডেস্কঃ ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম আকাশচুম্বি। এই সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশগুলো তেল বিক্রি করে ব্যাপক মুনাফা করছে। কিন্তু ইউরোপের কৌশল ভিন্ন। তারা রাশিয়াকে চাপে ফেলে তেলের দামে লাগাম টেনে দিয়েছে। রাশিয়ান তেলে তারা প্রতি ব্যারেলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ৬০ মার্কিন ডলার। কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এতে সন্তুষ্ট নন। তিনি রাশিয়াকে শাস্তি দিতে তেলের দাম ৩০ ডলার চান। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
ভলোদিমির জেলেনস্কি বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), জি-৭ ও অস্ট্রেলিয়া মিলে রাশিয়ান তেলে যে মূল্যসীমা বেধে দিয়েছে, তা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ততটা শাস্তিমূলক নয়। এটি মস্কোর জন্য বেশ আরামদায়ক। রাশিয়া ইতোমধ্যে জ্বালানির বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির মাধ্যমে বিশ্বের সব দেশকে বিশাল ক্ষতির মধ্যে ফেলেছে। সেই তুলনায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন পদক্ষেপ একেবারে নগণ্য শাস্তি।
জেলেনস্কির দাবি, রাশিয়ার বিরুদ্ধে সব ধরনের শক্তিশালী কৌশল কাজে লাগানোর এখনই সময়। নইলে সময় ফুরিয়ে যাবে, পরে আর কোনো কিছুতেই কাজ হবে না। ৬০ ডলারে ব্যারেল বিক্রি করে রাশিয়া বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করবে। আর তা যুদ্ধে মানুষ মারার কাজে ব্যবহার করবে। কাজেই মূল্যসীমা ৩০ ডলার করা উচিত।
ইইউ, জি-৭ ও অস্ট্রেলিয়া রাশিয়ার তেলে মূল্যসীমা নির্ধারণে একমত হয়। তারা রাশিয়ান তেলে প্রতি ব্যারেলের দাম ৬০ ডলার বেধে দেয়। পোল্যান্ডসহ ইউরোপীয় দেশগুলো তাতে সমর্থন দেওয়ার পরে গত শুক্রবার বিষয়টি অনুমোদন পায়। এই মূল্যসীমা আগামীকাল সোমবার থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে জি-৭ ও অস্ট্রেলিয়া।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, মূল্যসীমা নির্ধারণের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। তবে তা স্পষ্ট করা হয়নি। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য রাশিয়ার আয় হ্রাস করা। প্রথমে পোল্যান্ড ৬০ ডলারের সিদ্ধান্তে নারাজি দিয়েছিল।
দেশটি রাশিয়ার রাজস্ব কমাতে এবং যুদ্ধে মস্কোর অর্থায়নের ক্ষমতা সীমিত করার বিষয়টিতে জোর দিয়েছিল। পরে পোল্যান্ডের ইইউ রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেজ স্যাডোজ সাংবাদিকদের জানান, তার দেশ ওই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে। পরে সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।