শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
প্রথমবারের মতো ২৩-২৪ ডিসেম্বর বিজিএমইএ ক্যারিয়ার সামিট
/ ৫১ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১:২০ অপরাহ্ন

বিশেষ প্রতিনিধি:

প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী ক্যারিয়ার সামিট এন্ড ফেস্ট আয়োজন করছে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমইএ। আগামী ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এই সামিট অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর ) রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান ।

বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প এখন প্রবৃদ্ধির পরবর্তী মাপে এগিয়ে যাচ্ছে। এরই আলোকে আমরা বাংলাদেশ সরকারের এসডিজি অভীষ্টগুলোর সঙ্গে সংগতি রেখে পোশাক শিল্পের জন্য টেকসই কৌশলগত রূপকল্প-২০৩০ নির্ধারণ করেছি। এই রূপকল্পের ১ম অগ্রাধিকার হচ্ছে জনগন।

অর্থাৎ শিল্পের ভেতরে বাহিরে, ব্যাপক অর্থে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা অব্যাহত রাখা আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য।

বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, উন্নয়নের অন্যতম প্রধান শতই হচ্ছে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। তাই আমরা শিল্পে কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছি।

এরই ধারাবাহিকতায় আমরা বিজিএমইএ এর পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো দুর্দিনব্যাপী ক্যারিয়ার সামিট অ্যান্ড ফেট ২০২৩ আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছি, যা আগামী ২৩-২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ৩য় তলায় (সেকেন্ড ফ্লোর) অনুষ্ঠিত হবে।

এই ইভেন্টের লক্ষ্য হচ্ছে পোশাক শিল্পে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট এবং নেতৃস্থানীয় কোম্পানির মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা এবং শিক্ষার্থীদেরকে পোশাক শিল্প বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি প্রদান করা, যাতে করে তারা দক্ষতাসমৃদ্ধ হয়ে ক্যারিয়ারে সফল হতে পারে।

এ ইভেন্টের লক্ষ্য পোশাক শিল্পে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট এবং নেতৃস্থানীয় কোম্পানির মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা। শিক্ষার্থীদের পোশাক শিল্প বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি প্রদান করা, যাতে করে তারা দক্ষতাসমৃদ্ধ হয়ে ক্যারিয়ারে সফল হতে পারেন।

বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন,আগামী ২৩ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএ ক্যারিয়ার সামিট অ্যান্ড ফেস্ট-এর উদ্বোধন হবে। ইভেন্টে ৪০টিরও বেশি স্বনামধন্য নিয়োগদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহন করবে।

দেশের সকল সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, টেক্সটাইল কলেজ,বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শেষ বর্ষের এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থরা যারা পোশাক শিল্পে চাকুরি করতে ইচ্ছুক, তাদের সবার জন্য এখানে অবারিতভাবে সিভি ড্রপ এবং অন স্পট ইন্টারভিউ প্রদানের সুযোগ উন্মুক্ত থাকবে।

আশা করা যাচ্ছে যে ক্যারিয়ার সামিটে বিভিন্ন গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। ইভেন্ট চলাকালে তারা বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করবেন।

অংশগ্রহনকারীদের মধ্য থেকে কেউ কেউ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দিবেন। এই ইভেন্টটি সামগ্রিক শিল্প নিয়ে মতবিনিময় এবং অংশীজনদের মধ্যে সহযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে তুলবে। বিজিএমইএ ক্যারিয়ার সামিট শিক্ষার্থী এবং নিয়োগদানকারী কোম্পানিগুলোকে একই ছাদের নীচে আনবে, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সম্ভাব্য সুযোগ সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবে।

এই ইভেন্ট থেকে অংশগ্রহনকারী গ্র্যাজুয়েটরা জানবে বর্তমানে পোশাক শিল্পে চাকুরির চাহিদা কেমন ধরনের এবং তারা সে অনুযায়ী নিজেরা প্রস্তুতি গ্রহন করতে পারবে। আমাদের দেশে অনেক গ্রাজুয়েট আছে, তারা এ বিষয়ে প্রকৃত ধারনা না থাকার কারণে যোগ্য স্থানে যেতে পারছে না। চাকুরির বাজারের সাথে সঙ্গতি রেখে তাদেরকে অবশ্যই প্রস্তুতি নিতে হবে।

এই সামিটের আরও একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো, এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন অনুষদের ডীনরাও উপস্থিত থাকবেন। ফলে শিল্প-একাডেমিয়া সংযোগ তৈরিতে এই ইভেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে।

বিজিএমইএর সভাপতি বলেন ,পোশাক শিল্প এখনও একটি শ্রম নিবিড় শিল্প হিসেবেই রয়ে গেছে, যদিওবা সম্প্রতি আমরা পণ্য উদ্ভাবন, বৈচিত্র্য ও কারিগরি উৎকর্ষতার দিকে অনেকটাই এগিয়ে গেছি। আগামী এক দশকের মধ্যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রভাবে শিল্পটি একটি জ্ঞানভিত্তিক ও প্রযুক্তি নির্ভর শিল্পে পরিনত হবে। তখন যারা শিল্পে কাজ করবেন তাদেরকে অবশ্যই জ্ঞানসমৃদ্ধ ও দক্ষ হতে হবে, টেকনোলজি জানতে হবে। শিল্পে টেকনোলজি অভিযোজনের কারণে উৎপাদন ব্যয় কমবে, সময় সাশ্রয় হবে, প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়বে।

একটি উদাহণে দিয়ে বিষয়টি পরিস্কার করছি। ভার্চুয়াল প্রটোটাইপিং বর্তমান সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ন প্রযুক্তি। আমরা আগে কাপড় কেটে স্যাম্পল তৈরি করতাম, সেটি ক্রেতাদের অনুমোদনের জন্য কুরিয়ারে পাঠাতে হতো। এখনও আমরা তাই করি, তবে এই ভার্চুয়াল প্রযুক্তির কল্যানে কাপড়, খরচ ও সময় সাশ্রয় করে সম্পূর্ন কাজটি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে করতে পারছি। এর ফলে একদিকে আমাদের প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়ছে, অন্যদিকে ডিজাইন উদ্ভাবনে আমাদের সক্ষমতাও বাড়ছে। কর্মজীবনের প্রবেশ করতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের এ বিষয়গুলো জানতে হবে। তাদেরকে হার্ড স্কিল ও সফট স্কিল উভয় ক্ষেত্রেই পারঙ্গম হতে হবে।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page