সিনিয়র রিপোর্টার:
বাংলাদেশের পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি অর্জনে এবং স্থায়িত্ব বজায় রাখতে শ্রম অধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। শ্রম অধিকারকে এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার তুলা দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। পিটার হাস বলেন, তৈরি পোশাক খাতের জন্য সাম্প্রতিক ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনা একটি বস্তুনিষ্ঠ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রমাণভিত্তিক জাতীয় মজুরি নীতির সুস্পষ্ট প্রয়োজনীয়তা প্রদর্শন করেছে, যা গার্মেন্টস শ্রমিকদের মুখোমুখি গুরুতর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে।
তিনি আরও বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং বাংলাদেশে পরিচালিত মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য একটি স্থিতিশীল ও প্রত্যাশিত পরিচালনার পরিবেশের জন্য শক্তিশালী শ্রম আইন ও বাস্তবায়ন অত্যাবশ্যক।
গত ১৬ নভেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষিত নতুন শ্রম স্মারকের বিষয় মনে করিয়ে দিয়ে পিটার হাস বলেন, এই নতুন বৈশ্বিক শ্রম কৌশলটি সমস্ত মার্কিন সরকারি সংস্থাগুলোকে সরকার, শ্রম সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, সুশীল সমাজ এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে সংগঠন এবং সম্মিলিত দরকষাকষির স্বাধীনতার অধিকার প্রচার ও সুরক্ষার জন্য সম্পৃক্ততা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে।
অনুষ্ঠানে পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে তৈরি পোশাকশিল্প ও শ্রমিকদের জন্য কী করছেন তা মার্কিন প্রশাসনকে জানাতে অনুরোধ করেন।