বিশেষ প্রতিনিধি:
কোরিয়া সরকারের অর্থায়নে রংপুরে নবজাতক ও মাতৃসাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে একটি ১০০ কোটি টাকার পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্প চালু করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন। প্রকল্পটির লক্ষ্য রংপুর বিভাগে নবজাতক ও মাতৃ মৃত্যুহার কমিয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য লক্ষ্যমাত্রা ৩ অর্জনে অবদান রাখা।
মঙ্গলবার র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের উৎসব হলে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ‘স্ট্রেংদেনিং
দ্য ম্যাটারনাল অ্যান্ড নিওন্যাটাল হেলথ সিস্টেম ইন রংপুর’ নামে প্রকল্পটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়।
কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) এর মাধ্যমে কোরিয়া সরকার কোইকা-এনজিও
অংশীদারিত্বের অধীনে সেভ দ্য চিলড্রেন কোরিয়ার মাধ্যমে এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সাথে সমন্বয় করে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ এর এই প্রকল্পে বাস্তবায়নকারী অংশীদার হিসেবে আছে আরডিআরএস বাংলাদেশ এবং গবেষণা ও মূল্যায়ন অংশীদার হিসেবে আছে আইসিডিডিআরবি।
পরিকল্পনা অনুযায়ী মোট তিনটি ধাপে প্রকল্পটি পরিচালিত হবে। আগামী পাঁচ বছরে রংপুর ও লালমনিরহাট জেলাকে কেন্দ্র করে প্রথম ধাপে এই উদ্যোগটি কার্যকর করা হবে। ফেজ ১ এর ফলাফল এবং অগ্রগতি ফেজ ২ এবং ৩-এ রংপুর বিভাগের অবশিষ্ট জেলাগুলিতে সম্প্রসারণ নির্ধারণ করবে।
এই প্রকল্পটি একটি বিস্তৃত পদ্ধতি অবলম্বন করবে যা প্রসবপূর্ব যত্ন, প্রশিক্ষিত হাতে শিশুজন্ম,প্রসবোত্তর যত্ন, পরিবার পরিকল্পনা এবং জরুরী প্রসূতি যত্নসহ মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্যের সকল দিক নিয়ে কাজ করবে। স্থানীয় জনসাধারণ, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী এবং নীতিনির্ধারকদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে
কাজ করার মাধ্যমে, এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল টেকসই গঠনতন্ত্র তৈরি করা যা স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থা এবং নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করবে।
কোইকা বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কিম থাইয়ং বলেন, এই সহযোগিতামূলক প্রকল্পের লক্ষ্য ১৫ বছরের মধ্যে রংপুরে একটি ব্যাপক মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। প্রকল্পটি মা এবং নবজাতকদের স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যত নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন এবং সাস্থ্যসেবা
ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য- অধিকার সম্পর্কে নারীদের জ্ঞানবৃদ্ধির উপর জোর দিবে।
এটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ৩ এবং সরকারের মা ও শিশু স্বাস্থ্য নীতির সাথে সম্পর্কিত। একসঙ্গে, আমরা রংপুরের মা এবং নবজাতকদের জন্য একটি উজ্জ্বল, স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যতের জন্য কাজ করবো।