বিশেষ প্রতিনিধি:
ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) ২০২৪-২৫ মেয়াদের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার।
এ ছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শেভরন বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এরিক এম ওয়াকার ও সহ-সভাপতি হয়েছেন গ্রামীণফোন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান।
রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত ফিকির ৬০তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) নতুন পরিচালনা পর্ষদ সম্পর্কে এ ঘোষণা দেওয়া হয় বলে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ফিকির ২০২২-২৩ মেয়াদের বর্তমান সভাপতি নাসের এজাজ বিজয়ের স্থলাভিষিক্ত হবেন জাভেদ আখতার।
আগামী ৩১ ডিসেম্বর বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ১ জানুয়ারি থেকে নব-নির্বাচিত ১৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
নব-নির্বাচিত সভাপতি জাভেদ আখতার বলেন, বাংলাদেশের সূচনালগ্ন থেকে অর্থনৈতিক কাঠামো তৈরিতে ধারাবাহিকভাবে অবদান রেখে আসছে ফিকি।
বিশেষ এ চেম্বারের সভাপতির পদ গ্রহণ করা আমার জন্য একই সঙ্গে অত্যন্ত সম্মানের এবং গভীর দায়িত্ববোধের। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই বাংলাদেশেকে বিনিয়োগের বাতিঘরে পরিণত করতে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে ফিকি এবং ৯০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আনার মাধ্যমে একটি ব্যবসাবান্ধব ইকোসিস্টেম গড়ে তুলেছে, যা দেশের প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, আমি আমার পূর্বসূরি নাসের এজাজ বিজয়কে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে গত দুই বছরে ফিকির সাফল্যকে অনন্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। সেই সঙ্গে ফিকির নব-নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ এবং সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করে ফিকিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে চাই।
শুধুমাত্র চেম্বারের বর্ণাঢ্য ঐতিহ্যকে তুলে ধরা নয় বরং ফিকির ভুমিকাকে আরও শক্তিশালী করে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট এবং উন্নত অর্থনীতিতে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করার আশাবাদ জানান তিনি।
ফিকির বর্তমান সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় পরিচালনা পর্ষদের প্রতি তাদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, শীর্ষস্থানীয় এ চেম্বারের নেতৃত্বদানে আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য আমি ফিকির সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। গত দুই বছরে চমৎকার এ পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে একযোগে কাজ করে আমরা তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করতে পেরেছি। এ ছাড়া ফিকি তার গৌরবময় যাত্রার ৬০ বছর পূর্ণ করায় ২০২৩ সাল ছিল আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নানা আয়োজনে আমরা এ বর্ষপূতি উদযাপন করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি, নতুন বোর্ড স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে সরকার এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আরও শক্তিশালী অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। নতুন পরিচালনা পর্ষদ আগামী দিনে ফিকিকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমি আশাবাদী।
এসময় এজিএমে ফিকির বিদায়ী ও নতুন নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।